ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আশরাফুলের কলাবাগানের ১ রানের হার

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আশরাফুলের কলাবাগানের ১ রানের হার

তাসামুল হকের ৮৯ রানের ইনিংসও কলাবাগানকে জেতাতে পারেনি। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মামুন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ম্যাচ জেতার কথা ছিল কলাবাগান ক্রীড়াচক্রেরই। ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে ৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬২ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু সেই ম্যাচ শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ১ রানে হেরেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের দল।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য কলাগাবানের দরকার ছিল ৪ রান, হাতে ১ উইকেট। শেষ ওভারে ফরহাদ রেজার প্রথম বলে ২ রান নিয়ে ব্যবধান কমিয়ে আনেন নাবিল সামাদ। কিন্তু পরের বলে রানআউট হয়ে যান তার সঙ্গী ও কলাবাগানের শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ হাসান। তাতে ১ রানের নাটকীয় জয় পায় দোলেশ্বর।



এবারের ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম ম্যাচে দোলেশ্বরের এটি তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে চতুর্থ হার কলাবাগানের।

শনিবার ফতুল্লায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০২ রান করেছিল দোলেশ্বর। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন শাহরিয়ার নাফীস। ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী।

২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কলাবাগানের সেরা বোলার সঞ্জিত সাহা। ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক আশরাফুল।



মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় কলাগাবানকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও তাসামুল হক। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬২ রান। মেহরাব ২৯ করে শরীফউল্লাহর বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।

তিন ও চারে নামা তুষার ইমরান আর আশরাফুল উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২১ বলে ১৭ করেছেন তুষার, ২১ বলে ৭ আশরাফুলের। তবে তাসামুল ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন। তিনি নিজেও এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরি দিকে। ৪০ ওভার শেষে কলাগাবানের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৬২। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য চাই ৪১ রান।

এরপরই নাটকীয়ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৪১তম ওভারের প্রথম ও শেষ বলে আরাফাত সানী ফিরিয়ে দেন তাসামুল ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১)। ১২৬ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে তাসামুল করেন ৮৯। পরের ওভারে ফিরে যান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জসিমউদ্দিনও। ৩ উইকেটে ১৬২ থেকে কলাবাগানের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৬৬, ৪ রানেই নেই ৩ উইকেট!



খানিক বাদে পরপর দুই ওভারে সাজঘরে পথ ধরেন মুক্তার আলী ও রকিবুল হাসান। আর সঞ্জিত যখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরলেন, তখনো জয়ের জন্য ১৮ রান দরকার কলাবাগানের।

শেষ ২ ওভারে কলাগাবানের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। নাহিদের এক ছক্কায় ৪৯তম ওভার থেকে আসে মোট ১১ রান। কিন্তু শেষ ওভারে ৪ রানের প্রয়োজনে দ্বিতীয় বলে সেই নাহিদই রানআউটে কাটা পড়লে কলাবাগানেরও জয় হাতছাড়া হয়ে যায়।

দোলেশ্বরের হয়ে রেজা ও শরীফউল্লাহ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। সানীর ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন রাহাতুল ফেরদৌস। ম্যাচসেরা হয়েছেন শরীফউল্লাহ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ এপ্রিল ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়