খালেদার ঈদ লন্ডনে, নেতারা যাবেন এলাকায়

এস কে রেজা পারভেজ : আগের বছর ঈদুল আজহায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বছর ঘুরে আবারো সেই ঈদুল আজহাতেই ফের পরিবারকে কাছে পেলেন তিনি।

লন্ডনে দুই ছেলের পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে আছেন বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবার। ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর পরিবারও আছেন সেখানে।

গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপি নেত্রী। ৮ আগস্ট লন্ডনের মুরফিল্ড হাসপাতালে তার ডান চোখের অস্ত্রোপচার হয়। লন্ডনে দুই ছেলের পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঈদের সময় দেশে থাকলে মূলত নেতাকর্মী, কূটনীতিক ও সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। তবে এবার তিনি লন্ডনে অবস্থান করা দলীয় প্রধানকে ছাড়াই ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

নেতাদের পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম যশোরে, ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে ঈদ করবেন।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঈদের দিন সকালে তার নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জে থাকবেন। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লায় ঈদ করবেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ঈদ করবেন ঢাকায়।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ঢাকায় ঈদ করে পরের দিন নোয়াখালী নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে। চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খন্দকার, মাহবুবুর রহমান শামীম, কাদের গনি চৌধুরী।

নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীতে ঈদ করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ঢাকায়, শাহজাহান ওমর নোয়াখালীতে, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ময়মনসিংহে, আবদুল আউয়াল মিন্টু ঢাকায়, শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গায় ঈদ করবেন।

এদিকে উপদেষ্টাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ঢাকায়, আবুল খায়ের ভুইয়া লক্ষ্মীপুরে, খন্দকার আবুল মোক্তাদির সিলেটে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু নোয়াখালীতে ঈদ করবেন। এদিকে ঢাকার প্রাক্তন মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সপরিবারে তিনি সেখানেই ঈদ উদযাপন করবেন।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা শওকত মাহমুদ কুমিল্লায়, মজিবুর রহমান সরোয়ার বরিশালে, হারুনুর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জে, খায়রুল কবির খোকন নরসিংদীতে, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহ, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন সিলেটে, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেত্রকোনায় ঈদ করবেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ঢাকায় ঈদ করবেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, এনাম আহমেদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অনেকেই ঢাকায় ঈদ করবেন।

কারাগারে ঈদ যাদের : বিগত বছরের তুলনায় এবার কারাগারে ঈদ করা বিএনপির নেতাদের সংখ্যা কিছুটা কম। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বেশ কয়েক বছর ধরেই কারাবন্দিদের সঙ্গে ঈদ করছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/রেজা/মুশফিক