ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আমার দুঃখ শেখ মুজিবকে দেখতে পারিনি: আন্না

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আমার দুঃখ শেখ মুজিবকে দেখতে পারিনি: আন্না

আমিনুল ইসলাম শান্ত : আন্না কোক্কিযরেল্লা ইতালিয়ান নাগরিক।  ইতালির বেনেবেন্ত গ্রামে জন্ম। বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। পরবর্তী সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান ইতালির রাজধানী শহর রোমে। লা সাপিয়েনসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওরিয়েন্টাল ল্যাংগুয়েজ সিভিলাইজেশন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। ইতোমধ্যে বাংলা ভাষা শিখে নিয়েছেন। ইতিহাস তাকে গভীরভাবে টানে। আর সে টান থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ করছেন। সম্প্রতি রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ আলাপচারিতার বিশেষ অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

রাইজিংবিডি: বাংলা ভাষার সঙ্গে আপনার পরিচয় কীভাবে?

আন্না: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় হিন্দি ভাষা পড়তাম। তখন বাংলা ভাষার কোনো কোর্স আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না। এটা প্রথম বর্ষের কথা। সালটা বোধহয় ২০০১। এ সময় বাংলা ভাষার কোর্স চালু করার জন্য কিছু ছেলেমেয়ে স্বাক্ষর নিতে আসে। তারা নতুন একটা কোর্স চায়। বাংলা ভাষা কেমন তখন আমি কিছুই জানতাম না। ওই সময়ই প্রথমবার বাংলা শব্দ শুনি। কয়েক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাস মেয়াদি একটি সেমিনার ছিল। ওখানে উর্দু, বাংলা, তিব্বতি এই তিনটি ভাষা ছিল, পছন্দমতো যেকোনো একটি নিতে হবে। উর্দু-হিন্দি প্রায় এক। আর তিব্বতি আমার পছন্দ ছিল না। তারপর ভাবলাম আমি বাংলা ভাষা পড়ব। কিন্তু তিন মাসে আর কি শেখা যায়! বড় জোর বর্ণমালা আর ‘আমি ভালো আছি’, ‘তোমার দেশ কোথায়?’ এ পর্যন্ত শেখা যায়। এ পর্যন্তই শিখলাম।

এর মধ্যে আমি একবার ভারতে আসি। তখন বাংলাদেশি এক বন্ধু বলল, পাশাপাশি তো দেশ, তাহলে বাংলাদেশ হয়ে যাও। তারপর বাংলাদেশ হয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম। বাংলাদেশে পৌঁছাই ২১ ফেব্রুয়ারি। এটা অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছিল। সালটা ২০০৩। এসে আতিথেয়তা যেমন দেখলাম, তেমনি কিছু বিরক্তির কাজও দেখলাম। আমি শিখেছিলাম- আমি খেয়েছি, আমি শিখেছি ইত্যাদি। কিন্তু বাংলাদেশে এসে শুনি, আমি খাইছি, আমি শিখছি। আমি তো অবাক! ভাবলাম ভুলটা কোথায়? তবে কি আমি ভুল শিখেছি? যাই হোক, এরপর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইনস্টিটিউটে যাই বাংলা ভাষা শিখব এজন্য কিছু তথ্যের জন্য। এরপর ইতালি ফিরে যাই। ওখানে বাংলাদেশি এক বন্ধুর সঙ্গে আমার আগ্রহের বিষয় শেয়ার করি। তখন সে এ বিষয়ে বেশ সাহায্য করেছিল। পরের বছর ভাষা ইনস্টিটিউটে এক বছর মেয়াদি কোর্সে ভর্তি হই। 

রাইজিংবিডি: বাংলা ভাষা শেখার কারণ জানতে চাই।

আন্না: প্রথমবার বাংলাদেশে আসার পর আমি ভাষা আন্দোলন নিয়ে পড়াশোনা করি। এখান থেকে জানতে পারি এই বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে অনেকে সংগ্রাম করেছেন,  জীবন দিয়েছেন। তারপরই ভাবি, এই ভাষা শেখা উচিৎ, এই ভাষা অবশ্যই আমাকে জানতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিই, আমি এটা শিখবই। আর ভাষাটা মিষ্টি, খুব সুন্দর।  আমি ইতিহাসের স্টুডেন্ট। ইতিহাস পছন্দ করি। তাই এটা আমার কাছে ছোট বিষয় না। এটাও একটা কারণ। ইতালিতে ১৫-২০ বছর ধরে যেসব বাঙালি থাকেন তারাও ইতালিয়ান ভাষা শেখেন না। যতটুকু জানেন সেটাও ভাঙা ভাঙা। তাই ভাবলাম ইন্টাপ্রেটর হিসেবেও কাজ করা যাবে। এতে ইতালিয়ান সরকারেরও সহযোগিতা হলো আবার বাঙালিদেরও সাহায্য হলো। 

রাইজিংবিডি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ করছেন। কিন্তু অনুবাদের জন্য এই বইটি কেন বেছে নিলেন?

আন্না : বাংলাদেশে সব মিলিয়ে ছয় বছর কেটেছে। এখানে এসে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শুনি, লোকটিকে আমি অসম্ভব পছন্দ করে ফেলি। আমি সে সময় থাকলে নিঃসন্দেহে তার প্রেমে পড়ে যেতাম। আমার দুঃখ শেখ মুজিবকে দেখতে পারিনি। ইতালিয়ানরা বাংলাদেশ সম্পর্কে কম জানেন। বাঙালিরাও ইতিহাস কম জানেন। আর শেখ মুজিবকে ইতালিয়ানরা জানেই না বলা যায়। হয়তো ১০০ জনে একজন জানে, তাও যারা বাঙালিদের সঙ্গে ওঠা-বসা করেন। আমি চাচ্ছিলাম, এরকম বড় মাপের একজন নেতা পরিচিত হোক। বাংলাদেশ একটি গরিব দেশে, এখন আবার এটাও প্রচার হচ্ছে- এটা টেরোরিস্ট কান্ট্রি। আমি চাই মানুষ বুঝুক, জানুক বাংলাদেশ গরিব না, বাংলাদেশ মুসলমানদের দেশ এজন্য ভয়ে থাকতে হবে- এটা ভুল। বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক দেশ। যেকোনো দেশেই ঝামেলা হয়। আমাদের দেশেও মাফিয়া আছে। তাই বলে ইতালির সবাই মাফিয়া নাকি?

সুতরাং মানুষ কেন সত্যটা জানবে না? শেখ মুজিব বইটিতে কিছু জায়গায় এত আবেগ দিয়ে লিখেছেন যে, সবার রিঅ্যাকশন হবে। আমার হয়েছিল। বইটিতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ মুজিবের জেল থেকে বের হওয়া পর্যন্ত তার জীবনী আছে। তাই ভাবলাম, এই মানুষটিকে দেখতে না পারলেও তার লেখা থেকে অন্যরা জানুক। আর সেখানে আমার এই অংশগ্রহণটুকু থাকুক।

রাইজিংবিডি: বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখী হয়েছেন কী?

আন্না: ভাষাগত কিছু বিষয়ে সমস্যা হয়েছে। তবে সেগুলোর সমাধানও হয়েছে। সমস্যা হলে বাঙালি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। আমি কোথাও ভুল বুঝেছি কিনা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি এবং সমাধান করে ফেলেছি। আর ইংরেজি অনুবাদটিও পড়েছি। ইংরেজি বইটিতে কিছু কিছু লেখা আছে, একদম ভিন্ন। তারপর মনে করলাম না, বাংলা বই থেকেই অনুবাদ করি, ওখান থেকেই সহজ হবে। কিছু কিছু অভিব্যক্তি আছে, যেখানে আঞ্চলিক শব্দ আছে। সেগুলো বোঝা কঠিন। তবে সেটা অসম্ভব বলব না। এমন কিছু বিষয়ে বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়েছি নিশ্চিত হওয়ার জন্য। চাইনি বইটিতে কোনো ভুল থাকুক।
 


রাইজিংবিডি: বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এমন একজন কিংবদন্তীর জীবনী অনুবাদ করছেন, যার সঙ্গে ইতিহাস যুক্ত। কোথাও ভুল হলে ইতিহাস বিকৃত হবে। এক্ষেত্রে কতটা সতর্কতা অবলম্বন করেছেন?

আন্না: এক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করেছি। অনুবাদ করতে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় আমি দ্বিধায় পড়েছিলাম।  ধরেন, এক বাক্যে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পরের বাক্যে লেখা সে/তিনি, এখন আগের বাক্যের তিনজনের কাউকে সে/তিনি দিয়ে নির্দেশ করা হচ্ছে।তা হলে এই তিনজনের কাকে বোঝানো হচ্ছে? মাঝে মাঝে এমন কিছু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বুঝতে অসুবিধা হলে সেক্ষেত্রে আমার বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে নিশ্চিত হয়ে ওই বিষয়টুকু শেষ করেছি। বাংলা ভাষাটা যেহেতু আমার মাতৃভাষা না তাই অনুবাদ করাটাও আমার জন্য সহজ ছিল না।

রাইজিংবিডি: মুজিবকে জানার জন্য আর কারো বই পড়েছেন কিনা?

আন্না: হ্যাঁ, পড়েছি। তবে নামগুলো সঠিকভাবে এখন বলাটা আমার জন্য কঠিন। সম্ভবত ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে একটি বই পড়েছিলাম। এরপর একটি কনফারেন্সে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন এক শিক্ষক। তখন তিনি একটি মোটা বই দিয়েছিলেন। ৪০০ পাতার এ বইটি ইংরেজি ভাষায় ছিল। এতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য ছিল। তা ছাড়া শেখ মুজিবকে নিয়ে ডকুমেন্টারি দেখেছি। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের দলীয় লোক এবং অন্য দলের লোকের সঙ্গেও কথা বলেছি। এতে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই ধরনের  তথ্যই জেনেছি। তবে যা গ্রহণ করেছি তা নিজ বিচারে করেছি। কারণ তথ্যের উৎসের নির্ভর যোগ্যতাও তো দেখতে হবে তাই না?  শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতেন, তিনি নেতা ছিলেন। সময়ের আবর্তনে তাকে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। যদিও ওইসব সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ ছিল। ভালো-মন্দ মিলিয়েই একজন  গ্রেড লিডার তৈরি হয়।

রাইজিংবিডি: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির অনুবাদের কাজ কতদূর এগিয়েছে?

আন্না: এখন মোটামুটি কাজ শেষ। প্রুফ রিডিং বাকি ছিল সেটাও শেষ। অনুবাদ করতে এক বছর সময় লেগে গেল। তবে বইটির শেষাংশে এসে আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা একটু বেশি হয়েছিল। তাই কষ্টটাও কম হয়েছে। যদিও শেষাংশের অধিকাংশ অধ্যায়ে রাজনৈতিক বিষয় ছিল।

রাইজিংবিডি: বইটি কবে প্রকাশিত হবে?

আন্না: আমার মনে হয় বই আকারে হাতে পেতে আরো এক বছর লাগবে। আমি বইটি প্রকাশের জন্য প্রকাশককে প্রস্তাব দেব। আর এ প্রস্তাবের উত্তর দিতে প্রকাশক তিন থেকে ছয় মাস সময় নেবেন। যদি ‘হ্যাঁ’ বলেন তবে আমি পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে পাঠাব। তারপর আরো বেশ কিছু ধাপে আমাদের কাজ এগুবে।

রাইজিংবিডি: বাংলা সাহিত্য পড়েছেন?

আন্না: অল্প পড়েছি। ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) ‘ঘরে বাইরে’ পড়েছি। ‘গীতাঞ্জলি’ বইটির ইরেজি ভার্সন পড়েছি। প্রথম বইটি মাকে পড়তে দিয়েছি। তবে ওটা ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা।

রাইজিংবিডি: বাংলা ভাষার আরো কোনো বই ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদের পরিকল্পনা আছে কি?

আন্না : ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির কাজ পুরোপুরি শেষ হলে শেখ মুজিবের ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি অনুবাদের পরিকল্পনা আছে। তবে এ কাজটি শেষ হলে কিছুদিন ছুটি নেব। তারপর পরের বইয়ের কাজ ধরব।  এ ছাড়া শেখ মুজিবকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।

রাইজিংবিডি: ইতালিয়ান ভাষায় এমন কি বই রয়েছে যা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন?

আন্না: তেরোশ শতাব্দীতে লেখা ‘দ্য ক্যামেরুন’ বইটি অনুবাদ করা যেতে পারে। বইটি ব্যক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করি। এটি লিখেছেন বোকাচু। এ ছাড়া এমন অনেক বই রয়েছে যেগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা যায়। তবে প্রত্যেকটি ভাষায় কিছু সমস্যা আছে। আর এসব সমস্যার কারণে অনুবাদের সময় কিছু ফিলিং মিসিং হয়ে যায়। যদিও কিছু করার নেই। একটি বইয়ের অনুবাদ করাই যায় কিন্তু একজন ইতালিয়ান লেখক যে অনুভূতি দিয়ে একটি বই লিখেছেন তা বাংলা ভাষায় ব্যক্ত করা খুব কঠিন। একই সমস্যা বাংলা বই ইতালিয়ান ভাষায় অনুবাদ করার ক্ষেত্রেও। ধরুন, বাংলা শব্দ অভিমান। অভিমান শব্দে রাগ, ভালোবাসা দুটোই আছে। যাকে ভালোবাসেন না তার ওপর অভিমান করতে পারবেন না। এখন ইংরেজিতে এর কি অনুবাদ করবেন? আমি এখনো যুতসই কোনো শব্দ খুঁজে পাইনি। আর আমি কবিতা অনুবাদের পক্ষে না। কবিতা তার অরজিন ভাষায় পড়তে হয়। অরজিনের পাশে এক ধরনের একটি অনুবাদ থাকতে পারে।

রাইজিংবিডি: শুনলাম সূফীজম নিয়ে গবেষণা করছেন?

আন্না: ‘সূফীজম ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে গবেষণা করেছি। এ কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গা ঘুরেছি। তবে আমি আসল তরিকা পেয়েছি চট্টগ্রামে।  মিরসরাই মাইজভান্ডারির পাশে আরো একটি তরিকা আছে। এর নাম বিশ্ব দরবার আমানটোলা। ওদের আমি পছন্দ করি। তার একমাত্র কারণ ওরা প্রচার বিমুখ। ওদের সিস্টেম হলো- আমি বিষয়টি জানছি তারপর আমি আবার আপনাকে জানাচ্ছি। ওদের কোনো বই বের হয়নি। আমি প্রথম গবেষক হিসেবে কাজ করেছি বা তাদের নিয়ে লিখেছি।

রাইজিংবিডি: সূফীজম নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে?

আন্না : হ্যাঁ, আছে। সূফীজম মর্ডান তরিকা। কাজটি অনেক বড়। কারণ কাজটি ধর্ম নিয়ে। এদের নিয়ে আমার ব্যক্তিগত একটি ভিশন আছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শান্ত/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়