ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জবি থেকে চার ছাত্রলীগকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

আশরাফুল ইসলাম আকাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জবি থেকে চার ছাত্রলীগকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগের চার কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও গবেষণা দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গণিত বিভাগের (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) মো. শাহরিয়ার রহমান শান্ত (আইডি বি-১৭০৩০২০৪৬), গণিত বিভাগের (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) তৌহিদুল ইসলাম তুহিন (আইডি বি-১৭০৩০২০৬৯), অর্থনীতি বিভাগের (২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ) মেহেদী হাসান (আইডি বি-১৬০৪০১০৫৮) এবং সিএসই বিভাগের আব্দুল্লাহ আল রিফাতকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী।

এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দলীয় শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ঘাটতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে জবি শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা চার সদস্যের তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন— সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান খান জয় ও ইয়াজ আল রিয়াদ। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমঘটিত কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী তুহিনকে মারধর করে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। পরে সম্পাদকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মী নয়ন ও রিফাতকে মারধর করে। তারই জের ধরে রোববার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে সভাপতি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা একত্রিত হতে থাকে। এমন সময় সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। উভয় গ্রুপ একে ওপরের দিকে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টারিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ প্রশাসন বারবার সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও কোনোভাবেই তাদের সংঘর্ষ বন্ধ করা যায়নি। এ সময় ছাত্রলীগকর্মীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ ও সহকারী প্রক্টর মো. শাহীন মোল্লাসহ আট শিক্ষার্থী আহত হন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আশরাফুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়