ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যাত্রীর পায়ুপথে ১২ সোনার বার!

এম এ রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৫ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যাত্রীর পায়ুপথে ১২ সোনার বার!

নিজস্ব প্রতিবেদক : মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যাত্রীর পায়ুপথ থেকে  ১২টি সোনার বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

 

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সকালে এসব সোনার বারসহ ওই যাত্রীকে আটক করা হয়।

 

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

তিনি জানান, সোনা বহনকারী ব্যক্তির নাম শরীফ আহমেদ। পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। কুমিল্লার ময়নামতি বাজারে তার বাড়ি। উদ্ধার করা সোনার বারগুলোর মোট ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম। প্রতিটির ওজন ১০০ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

 

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা যায়, শরীফ আহমেদ (পাসপোর্ট নং বিএম ০৮০৬৭৩১) মালিন্দ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ওডি১৬২ এ করে বুধবার রাত  সোয়া ১২টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। গোপন সংবাদ থাকায় আগে থেকেই তিনি শুল্ক গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। তার হাঁটাচলায় অস্বাভাবিকতা ছিল। কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  কিন্তু তিনি কোনোভাবেই সোনার বারের কথা স্বীকার করছিলেন না।

 

জিজ্ঞাসাবাদের পরও শরীফ অস্বীকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে  রাত ৩টায় তাকে উত্তরা উইমেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্সরে করা হয়। এক্সরে রিপোর্টে তার রেক্টামে তিনটি অস্বাভাবিক পোটলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তারপরও শরীফ অস্বীকার করেন এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের 'দেখে নেব' বলে হুমকি দেন। শেষ পর্যন্ত তলপেট কেটে সোনা বের করার কথা বললে অপারেশন ছাড়া সোনা বের করে দেবেন বলে জানান শরীফ।

 

এরপর শরীফকে কাস্টমস হলে নিয়ে এসে পানি খেতে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর বিশেষ কৌশলে পায়ুপথে থাকা তিনটি কনডমের ভিতর থেকে চারটি করে মোট ১২টি সোনার বার বের করে আনেন শরীফ।

 

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৩৩ বছর বয়সি যাত্রী শরীফ জানান, ফ্লাইট অবতরণ করার ৩০ মিনিট আগে চারটি করে সোনার বার স্কচ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে প্রতিটি কনডমে রেখে রেক্টামে প্রবেশ করান। এ রকম তিনটি কনডম প্রবেশ করান তিনি। এজন্য মালয়েশিয়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারির হাত থেকে বাঁচার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেন।

 

গত ৩ জানুয়ারি ব্যবসার কাজে মালয়েশিয়া যান শরীফ। ২০১৬ সালে তিনি ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেন। শরীফ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃত সোনা  বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হবে।

 

এর আগেও শুল্ক গোয়েন্দারা শাহজালালে ‘স্বর্ণমানব’ এর সন্ধান পান। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর এক যাত্রীর রেক্টাম থেকে আটটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছিল।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জানুয়ারি ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়