ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবসের প্রস্তাব

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০২, ১১ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবসের প্রস্তাব

সংসদ প্রতিবেদক : ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রস্তাব করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একই সঙ্গে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রস্তাবও উত্থাপন করেন তিনি।

শনিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিরীনের প্রস্তাবের সঙ্গে সমর্থন জানিয়ে সংশোধিত আকারে একটি প্রস্তাব দিচ্ছি, এখানে যদি গৃহিত হয় তাহলে সুন্দর হবে।’

শিরীন আখতারের প্রস্তাব ছিল-১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হোক।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, যেহেতু ১৯৭১ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং এদেশীয় সহযোগিরা বাংলাদেশের ৩০ লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী গণহত্যা। যেহেতু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ এর ২৫ রাত থেকে অপারেশ সার্চ লাইটের নামে এই নজিরবিহীন গণহত্যা সূচনা করেছে যা পরবর্তী সময়ে অব্যাহত ছিল ৯ মাস।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গণহত্যার সময় বিভিন্ন নৃসংশতা, হত্যাযজ্ঞ গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী রাজধানী ঢাকায় ১ লাখ লোককে হত্যা করেছে। গণহত্যার স্বীকার বিভিন্ন দেশ গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাবার পাশাপাশি গণহত্যার বিরুদ্ধে গণসচেতনা সৃষ্টির জন্য জাতীয় পর্যায়ে গণহত্যা দিবস পালন করে। সেহেতু ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব করছি। আশা করি ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত এই সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, আরেকটি প্রস্তাব করছি- যেহেতু বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংগঠিত গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে ও শ্রদ্ধা জানাবার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর গৃহিত প্রস্তাব অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যেহেতু বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি দেশ এই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে, যেহেতু জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে। সেহেতু ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ দিবস পালন করার প্রস্তাব করছি। আর ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করতে পারি কি এটা বিবেচনার জন্য প্রস্তাব করছি।

আলোচনায় আরো অংশ নেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অধ্যাপক আলী আশরাফ, আবদুর রহমান, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ডা. দীপু মনি, মনিরুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশিদ, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ মার্চ ২০১৭/নৃপেন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়