ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সন্ত্রাসী ঝুঁকি মোকাবেলায় কাস্টমসে ডব্লিউসিও সিকিউরিটি প্রজেক্ট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ২৫ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সন্ত্রাসী ঝুঁকি মোকাবেলায় কাস্টমসে ডব্লিউসিও সিকিউরিটি প্রজেক্ট

এম এ রহমান : বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ কাস্টমসে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও)সিকিউরিটি প্রজেক্ট।

জাপান সরকারের অর্থায়নে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধানে  এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কাস্টমস। এটি বাস্তবায়ন হলে পন্যবাহী যান স্ক্যানিং করে এর ভেতরে দ্রব্যাদি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্যাসেঞ্জার নেইম রেকর্ড (পিএনআর), অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশনসহ (এপিআই) ও ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) সনাক্তকরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

এর ফলে বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল, হালকা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ড্রাগসহ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সনাক্ত করা যাবে। বর্তমানে সবকিছু ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সনাক্ত করা হয়ে থাকে।

এরই মধ্যে ওই প্রজেক্টের কাজ উদ্বোধন করতে ডব্লিউসিও’র জেনারেল সেক্রেটারি এইচ মি. কুনিয়া মিকোরিয়ার নেতেৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রজেক্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

এর আগে সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে এনবিআর ও ডব্লিউসিও’র মধ্যে নতুন কাস্টমস আইন ও প্রজেক্টের বিষয়ে মতবিনিময় হয়।

এ বিষয়ে অভ্যন্তরিণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাণিজ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সারা পৃথিবীতে সচেতনতা সৃষ্টি ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে উত্তম চর্চায় অবগত করার জন্য এই সেমিনার। এতে ডব্লিউসিও’র সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ কাস্টমসের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা তাকে অবহিত করেছি। আমরা বিভিন্ন পোর্ট ২৪ ঘন্টা ও সপ্তাহে সাতদিন খোলা রাখার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে একাডেমিসহ কাস্টমস সহায়ক সবকিছু করা হচ্ছে। বাণিজ্য সহায়তার পাশাপাশি বানিজ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চায় নতুন একটা কাস্টমস আইন কিওটো প্রটোকলের ভিত্তিতে প্রণিত হচ্ছে। ডব্লিউসিও কর্তৃপক্ষ এসবের প্রশংসা করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সার্বিক সহায়তা আশ্বাস দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে এনবিআর সূত্রে আরো জানা যায়, সোমবারের সেমিনারে বিশ্ব বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক কাস্টমস সংস্থার সহয়তার বিষয়টি প্রধান্য পায়। এবার ডব্লিউসিও প্রতিনিধিদলের সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ কাস্টমস নিরাপত্তায় ডব্লিউসিও সিকিউরিটি প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্পটির উদ্বোধন। ডব্লিউসিও’র ব্যবস্থাপনায় জাপান সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ কাস্টমস ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল, হালকা আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ড্রাগ ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ ক্ষতিকর দ্রব্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে। অত্যন্ত নিথুঁতভাবে তথ্য সহায়তা পাওয়া যাবে যে কোনো প্যাসেঞ্জার বা পণ্যের ক্ষেত্রে। এই প্রকল্পে ডব্লিউসিও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ কাস্টমকে সহায়তা করছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়