ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছি’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা একদিকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছি, অপরদিকে মিয়ানমারকে তাদের ফিরিয়ে নিতে চাপও দিচ্ছি। একটি দেশের নাগরিক কেন শরণার্থী হয়ে আরেক দেশে এসে আশ্রয় নেবে? এটা ওই দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। বিষয়টি মিয়ানমারকে উপলব্ধি করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। এ নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলা করার সুযোগ নেই।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তখন হাসি পায়। কেননা এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। হ্যাঁ-না ভোটের নামে তামাশা করেছিলেন। আর এর বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিএনপি মাগুরায় এবং ঢাকায় মোসাদ্দেক আলী ফালু ও মিরপুরের উপনির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। বিপরীতে আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকার ব্যবস্থসহ নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ভোটাধিকার জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এতে বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে। অপরদিকে বিএনপি ভোট চুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং এবং লুটপাটে ব্যস্ত ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু আতেল শ্রেণীর সুশীল আছেন, যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ আছে, কিন্তু নির্বাচনে জেতার সামর্থ নেই। এদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েস পূরণ করতেই অনেক সময় জনগণকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার, ভোটাধিকার হারাতে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিগত সহিংসতার জেরে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আর এসব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত আছে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে একটা ঘটনা ঘটল, উদ্ভস্তু হয়ে আমাদের দেশে অনেকে এল। ১৯৭৮ সাল থেকে এরকম উদ্বাস্তু আসছে। মিয়ানমারে এক একটা ঘটনা ঘটে আর আমাদের এখানে উদ্বাস্তুরা আসে। তারা (রোহিঙ্গারা) আশ্রয়ের আশায় আসছে। নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা তাদের আশ্রয় দেওয়ার এবং কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছি যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।’

এ সময় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করার তাগিদ দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

সূচনা বক্তব্যের পরে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭/নৃপেন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়