ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৪১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকিতে অগ্রণী ব্যাংকে দাবিনামা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ৯ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৪১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকিতে অগ্রণী ব্যাংকে দাবিনামা

এম এ রহমান মাসুম : রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৩ টাকা বকেয়া বা ফাঁকি দেওয়া আবগারি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর আদায়ে দাবিনামা জারি করেছে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)।

৮ এপ্রিল (রোববার) এলটিইউ কমিশনার মো. মতিউর রহমানের সই করা পৃথক দুটি দাবিনামা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করে মতিউর রহমান বলেন, আবগারি শুল্ক ও ভ্যাটের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে দুটি দাবিনামা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। এখন আমরা তাদের বক্তব্য শুনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

দাবিনামায় আবগারি শুল্ক বাবদ ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২৮ টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৩৮৫ টাকা পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দাবিকৃত মূসক পরিশোধের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তার কারণ সম্বলিত জবাব পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

এ বিষয়ে এলটিইউ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ সদস্যের একটি দল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৮ সালের করমেয়াদের হিসাব প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। যা পর্যালোচনা শেষে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আবগারি শুল্ক বাবদ ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৪ টাকা পাওনা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৪১১ টাকা পরিশোধ করে। অর্থাৎ ওই মেয়াদে বকেয়া আবগারি শুল্কের পরিমাণ ১ কোটি ৭২ হাজার ৪৭৩ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারি করমেয়াদে পরিশোধযোগ্য আবগারি শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫ টাকা। অর্থাৎ অগ্রণী ব্যাংকের নিকট ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পরিশোদযোগ্য আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২৮ টাকা।  তাই বৃহৎ করদাতা ইউনিট মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ৫৫ ধারা এর ১ উপধারা অনুযায়ী দাবিনামা জারি করেছে। আর দাবিকৃত মূসক পরিশোধের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তার কারণ সম্বলিত জবাব পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ওই একই পরিদর্শনে ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৩৮৫ টাকা টাকার বকেয়া ভ্যাটের প্রমাণ পায় বৃহৎ করাদাতা ইউনিট।

পর্যালোচনা অনুসারে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর করমেয়াদে পরিশোধযোগ্য ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৬ টাকা ও ২০১৮ সালের জানুয়ারি করমেয়াদে পরিশোধযোগ্য ভ্যাটের পরিমাণ হয় ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর করমেয়াদের ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি করমেয়াদের ৯ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ১৮১ টাকা পরিশোধ করে। অর্থাৎ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৩৮৫ টাকা এখনো অপরিশোধিত রয়েছে। তাই মূসক বা ভ্যাট আইন ১৯৯১ এর ৫৫ ধারা এর ১ উপধারা অনুযায়ী দাবিনামা জারি করেছে। আর দাবিকৃত মূসক পরিশোধের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তার কারণ সম্বলিত জবাব পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ এপ্রিল ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়