ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই যুবলীগ নেতা হত্যায় এমপি রানাকে গ্রেপ্তারের আদেশ

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ৯ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই যুবলীগ নেতা হত্যায় এমপি রানাকে গ্রেপ্তারের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এমপি রানাকে জোড়া খুনের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে এই নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক আজ আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আজ আদালতের বিচারক এমপি রানাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

জেলা গোয়েন্দো (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় এমপি রানাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে শামীম ও মামুন নিখোঁজ হন। ঘটনার পর দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলা তালিকাভুক্ত করে।

পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন এবং হিরন মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে আজ বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় বাদীর জেরা গ্রহণের জন্য এমপি রানাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রানা এই মামলায় আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন। 

পরে সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ায় আদালতে মামলার বাদী নাহার আহমেদের জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা জেরা শেষে পঞ্চম দফায় বাদীর জেরা সমাপ্ত হয়। আদালতের বিচারক আজকের দিনের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী অন্যান্য সাক্ষীর দিন ২৭ জুন ধার্য্য করেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।




রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/৯ মে ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়