ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঝুঁকি এড়াতে ৪৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে আইএফআইসি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ১২ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঝুঁকি এড়াতে ৪৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে আইএফআইসি

কেএমএ হাসনাত : ঝুঁকি এড়াতে সরকারি মালিকানা শেয়ারের বিপরীতে বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে ৪৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামকে এক চিঠি দিয়ে এ অর্থ দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৩ কোটি ৮৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৫টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে আট দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার।

এছাড়া সরকারের কাছে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৩০, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৮৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে আইএফআইসি ব্যাংক শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৮১, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা আট দশমিক ৪৬।

সূত্র জানায়, আগামী ২৯ জুন আইএফআইসি ব্যাংকের বার্ষিক জেনারেল মিটিংয়ে (এজিএম) বিষয়টি অনুমোদন করা হবে। এ কারণে অতি দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে লেখা আইএফআইসি’র এমডির চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাসেল-৩ অনুসারে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূলধনের ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ মোট ঝুঁকি ভারিত পুঁজি (রিস্ক ওয়েটেড ক্যাপিটাল) হিসেবে দেখাতে হবে। ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসেই রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। যার ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ঝুঁকি ভারিত পুঁজি হিসেবে দেখাতে হবে।

তবে বাড়তি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৭০ কোটি টাকা সাব-অর্ডিনেট বন্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। এখন যদি আইএফআইসি ব্যাংকের মোট ক্যাপিটাল না বাড়ানো হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আইন ও ব্যাসেল-৩ মানতে হলে আইএফআইসি ব্যাংক আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

গত বছর ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। বার্ষিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য আগামী ২৯ জুন বেলা ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে ২৩ মে।

সমাপ্ত হিসাব বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল এক টাকা ৭৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬৯ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ১৬ টাকা ৫১ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি সপ্তাহে আইএফআইসি ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। সমাপনী দরও ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৬ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে উঠা-নামা করে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ মে ২০১৯/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়