ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভিড় বাড়ছে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভিড় বাড়ছে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে

হাসিবুল ইসলাম মিথুন : আর কিছুদিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। তাই মানুষের ভিড় বাড়ছে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে।

সকাল থেকে প্রায় মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

তীব্র গরমেও থেমে নেই রাজধানীবাসীর ঈদের কেনাকাটা। যারা ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে ঈদ করবেন তারা সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ কারণে রাজধানীর বিপণিবিতান ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। সব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ।

বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়ে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। মনে হচ্ছিল, বসুন্ধরা মার্কেটটা আরেকটু বড় হলে ভালো হতো! এত বড় মার্কেট, কিন্তু ক্রেতার ভিড়ে ঠিকমতো হাঁটাই যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, অত্যধিক ভিড়ে মার্কেটটা আজ অনেক ছোট হয়ে গেছে।

নিউমার্কেট, চাঁদনী চক ও গাউছিয়া এলাকাও লোকে লোকারণ্য। সন্ধ্যায় ইফতারের পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি আরো বাড়তে থাকে। এ এলাকায় নারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ, এখানে মিলছে বৈচিত্র্যময় শাড়ি ও থ্রিপিস। মার্কেটের সব অংশেই ছিল প্রচণ্ড ভিড়। চাঁদনী চক ও গাউছিয়া মার্কেটেও অনুরূপ অবস্থা। ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেটের গেট থেকে ভেতরে যেতে সময় লাগছে আধঘণ্টার বেশি।

মার্কেটের সামনের ফুটপাতের অগণিত ছোট-বড় দোকানেও ছিল কেনাকাটার ব্যস্ততা। এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতান, ইস্টার্ন প্লাজা, আলপনা প্লাজা, মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটও ক্রেতায় ঠাসা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সব ধরনের ক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকে গভীর রাত পর্যন্ত। তরুণ বয়সী ক্রেতার ভিড় ছিল শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে।

ধানমন্ডি এলাকার রাইফেল স্কয়ার, আলমাসসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানেও ছিল ভিড়। মোহাম্মদপুর ও শ্যামলীর বাসিন্দারা ভিড় করছেন টোকিও স্কয়ার, শ্যামলী স্কয়ার শপিংমলসহ অন্যান্য মার্কেটে।

পাঞ্জাবির জন্য সুপরিচিত সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে পীর ইয়ামেনী মার্কেটে কয়েক দিন ধরে কেনাবেচা বেড়েছে। মধ্য আয়ের মানুষ ঈদের কেনাকাটা করছেন এসব মার্কেটে। এখানকার ক্রেতার অনেকে এসেছেন রাজধানীর বাইরে থেকে।

বিক্রেতারা জানান, এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। ২০ রমজানের পর থেকে প্রকৃত ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে।

কথা হয় শ্যামলী স্কয়ারের একটি শরুমের কর্মকর্তা  মো. তামিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের কেনাকাটার চাপ কয়েকদিন ধরেই হচ্ছে। রোজার প্রথম থেকে এ বছর মার্কেট ছিল ক্রেতাশূন্য। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে।

কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মাসুম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মূলত এবার আসা পোশাক দেখতে। হাতে বোনাস আসলেই কেনাকাটা শুরু করব। 

রাজধানীর অভিজাত মা‌র্কেটগু‌লো‌তে দেশীয় পোশাকের চা‌হিদা বে‌শি থাকলেও সাধারণ মা‌র্কেটগু‌লো‌তে ভারতীয় পণ্যের রমরমা ব্যবসা।

বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ‌নামিদা‌মি ব্র্যা‌ন্ডের শোরুমগুলোতে আধুনিক সব পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। আর এসব পোশা‌কের ম‌ধ্যে অধিকাংশই দেশীয়।

বসুন্ধরা সিটির ফ্রিল্যান্ড শাখার এক বিক্রয়কর্মী আরমান রহমান বলেন, ঈদের চাপ এখন মোটামুটি আছে। তবে আগামী শুক্রবার থেকে ভিড় দ্বিগুণ হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় পোশাকের সমারোহ রয়েছে। এবার ক্রেতাদের আগ্রহও দেশীয় পোশাকের প্রতি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়