ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

১৯৫০ বিশ্বকাপ : কী ছিল অফিসিয়াল পোস্টারে

সাইফ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ২১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৯৫০ বিশ্বকাপ : কী ছিল অফিসিয়াল পোস্টারে

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রীড়াযজ্ঞ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। কদিন বাদেই রাশিয়ায় শুরু হবে ফুটবল-যুদ্ধ।

প্রতিটি বিশ্বকাপে ফিফা একটি করে আনুষ্ঠানিক পোস্টার অবমুক্ত করে। আয়োজক দেশ, আয়োজক দেশের সংস্কৃতি এবং ফুটবলের প্রতি দর্শকদের আবেগ ও ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে পোস্টারগুলোতে। সেই সব পোস্টার নিয়ে রাইজিংবিডির বিশেষ আয়োজনের চতুর্থ পর্ব প্রকাশ হলো—

ফুটবল বিশ্বকাপের পোস্টারগুলোতে সমকালীন চিত্রকলার ধরন ও পরিচয় ফুটে উঠেছে। গত ৮৪ বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০ বিশ্বকাপে ২০টি পোস্টার প্রকাশ করেছে ফিফা। আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ২১তম পোস্টারটিও। প্রায় এক শতাব্দী ধরে প্রকাশ হতে থাকা এই সব পোস্টার আসলে হয়ে উঠেছে কালের সাক্ষী। এতে আয়োজক দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, চিত্রকলার রুচি ও সমকালীন অনেক কিছুই প্রকাশ পেয়েছে।

১৯৩০, ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে সফলভাবে আয়োজনের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার কারণে থমকে যায় বিশ্বকাপ। ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায় এক যুগের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা। বিশ্বযুদ্ধের লড়াই-মৃত্যু আর ঘৃণার অন্ধকার অধ্যায় শেষে ১৯৫০ সালে আবার বসে বিশ্বকাপের আসর। এবার ভেন্যু নির্বাচিত হয় ব্রাজিল। সাম্বার দেশে প্রথমবার বসে বিশ্বকাপ।

ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপে সুযোগ পায় ১৬টি দেশ। তবে ভারত, তুরস্ক এবং স্কটল্যান্ড তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রথম বিশ্বকাপের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ফিফার অফিসিয়াল আর্কাইভেও এ বিষয়ক কোনো তথ্য নেই। ফিফার এই বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টারটি ১৯৩৮ সালের পোস্টারের সাথে অনেকটাই মিলে যায়। এই পোস্টারেও দেখা যায় একজন ফুটবলার বল পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট হলো ফুটবলারটির পায়ের মোজা। তাতে অঙ্কন করা আছে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা। অংশগ্রহণকারী নয়, এমন দেশের পতাকাও আছে সেখানে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের সঙ্গে দেশের এবং জাতির সঙ্গে জাতির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঘোষণা করা।

এই পোস্টারের উপরের অংশে পর্তুগিজে লেখা আছে ‘iv campeonato mundial de futebol’ যার বাংলা হলো ‘বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’। আগের তিন বিশ্বকাপের তুলনায় ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টারে বেশি রঙের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া অঙ্কনের ধরনেও দেখা যায় পরিবর্তন। এ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের চিত্রকলার নমুনা কেমন, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৮/সাইফ হাসনাত/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়