ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রাক্তন ওসিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাক্তন ওসিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাষানটেক থানার প্রাক্তন পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আবুল বাশার মো. আসাদুজ্জামানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হতে যাচ্ছে।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হবে।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মামলাটি দায়েরের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত বিয়ষটি দুদকের এখতিয়ারভুক্ত বিধায় দুদকের আদালতে মামলা করতে বলেছেন।

ক্যান্টনমেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসেন পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন। এতে ভাষানটেক থানার প্রাক্তন পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আবুল বাশার মো. আসাদুজ্জামান, এসআই মনিরুল ইসলাম ও এসআই মাহবুবকে আসামি করা হবে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান (সুজন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারী ২০১২ সালের ৬ অক্টোবর গুলশানের মেডি গ্যাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের কাছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে মাসিক কিস্তিতে টাকা পরিশোধের শর্তে এক্সরে সিআর মেশিন ক্রয় করেন। ব্যবসা মন্দা থাকায় যথাসময়ে মেশিনের পাওনা পরিশোধ করতে পারেননি। এজন্য মালিক পক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। এতে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন ভাষানটেক থানার ওসি (তদন্ত) আবুল বাসার মো. আসাদুজ্জামান ও এসআই মাহবুব অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ মেশিনটি থানায় নিয়ে যায়। মেশিনটি ফেরত দেওয়ার শর্তে ওসি আসাদুজ্জামান এসআই মাহবুবের মাধ্যমে জাকির হোসেনের কাছ থেকে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে যান। এরপর মেশিনের মালিকের সঙ্গে দেনা-পাওয়ার বিষয়ে মীমাংসা হলে থানার ওসির কাছে মেশিনটি ফেরত চান জাকির হোসেন। মেশিন ফেরত দিতে ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ মো. আসাদুজ্জামান আরো ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি মিরপুর জোনের ডিসিকে জানান জাকির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আসাদুজ্জামান কোনো টাকা না নিয়ে মেশিনটি ফেরত দেন এবং মিথ্যা তল্লাশি তালিকা তৈরি করে মেশিনটি পাওয়া যায়নি দেখান।

বাদীকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ওসি বলেন, ‘এর মাশুল দিতে হবে।’ এরপর মিরপুর জোনের ডিসি বদলি হওয়ার পর একই বছরের ৩০ এপ্রিল ওসি তদন্ত মো. আসাদুজ্জামান চারটি পুরনো রাজনৈতিক মামলায় জাকির হোসেনকে চার্জশিটভুক্ত করেন। পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে করা তদন্তেও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়