ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

মঙ্গল নিয়ে আগ্রহ বাড়াবে ১০ তথ্য

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৬ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মঙ্গল নিয়ে আগ্রহ বাড়াবে ১০ তথ্য

প্রতীকী ছবি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : কয়েক দশক ধরে কয়েক ডজন অনুসন্ধানী যান ও স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষণায়।

মঙ্গলগ্রহে পাঠানো মহাকাশযানগুলো গ্রহটির আকর্ষণীয় নানা ছবি তুলে পাঠিয়েছে, যা সেখানে মানববসতি গড়ে তোলার উদ্যোগের পরিকল্পনা দিয়েছে এলন মাস্ককে।

কিন্তু পৃথিবীর পরবর্তী এই প্রতিবেশী সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন?

যদিও মঙ্গল গ্রহে মানুষ যাওয়ার বিষয়টি এবং সেখানে এখনো অনেক কিছুর রহস্যে সমাধান করা বাকি রয়ে গেছে এবং বিজ্ঞানীরা একটি বড় যুক্তি খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

যা হোক, মঙ্গল গ্রহের কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নিন এ প্রতিবেদনে। এসব তথ্য মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবেই আপনার আগ্রহ বাড়াবে।


ভূপৃষ্ঠ : পৃথিবীর মতোই মঙ্গল গ্রহের ভূ-ত্বক, তবে তা পৃথিবীর মতো ৭১ শতাংশ পানিতে দ্বারা পরিবেষ্টিত নয়।


তাপমাত্রা : মঙ্গল গ্রহের গড় তাপমাত্রা -৮১ ডিগ্রি ফারেনহাইট, পৃথিবীর তুলনায় ১৩৮ ডিগ্রি শীতল।


বায়ুমণ্ডল : মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর চেয়ে ৬১ গুণ বেশি পাতলা এবং প্রায় সম্পূর্ণভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে গঠিত। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মাত্র ০.০৪ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইডের।


গিরিখাত : যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর বৃহৎ একটি গিরিখাত, যা দৈর্ঘ্যে ২৭৭ মাইল, প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ মাইল এবং গভীরতা ১ মাইলেরও বেশি। অন্যদিকে সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গভীর গিরিখাতটি রয়েছে মঙ্গলগ্রহে। ভ্যালিস মেরিনারিস নামক এই গিরিখাতটি প্রস্থে প্রায় ২০ গুণ বেশি, দৈর্ঘ্যে প্রায় ৪ গুণ বেশি এবং গভীরতায় প্রায় ৫ বেশি গ্রান্ড ক্যানিয়নের তুলনায়।


প্রাচীন মহাসাগর :
বর্তমানে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ এতোটা কম যে এতে তরল পানি থাকা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গল গ্রহে একসময় মহাসাগর ছিল এবং তা পৃথিবীর মহাসাগরের মাত্র ১.৫ শতাংশ। প্রায় ৪২০ কোটি বছর আগে গ্রহটিতে তরল পানি ছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


সুনামি : পৃথিবীর মতো মঙ্গলের মহাসাগরেও সুনামি ছিল। ধারণা করা হয় লন্ডন আইয়ের তুলনায় কিছুটা কম উচ্চতা, অর্থাৎ প্রায় ৪০০ ফুট উচ্চতায় সুনামি হতো।


আইস ক্যাপ : পৃথিবীর মতো মঙ্গলের মেরুগুলোতে বরফের আস্তরণ রয়েছে। মঙ্গলের উত্তর মেরুর বরফের আস্তরণ ২ মাইল গভীর এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের তুলনায় সামান্য বড় একটি এলাকা জুড়ে।


আগ্নেয়গিরি : সৌরজগতের সবচেয়ে বড় পাহাড় ও আগ্নেয়গিরি মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত। এর নাম অলিম্পাস মন্স। আগ্নেয়গিরিটি পৃথিবীর হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরির তুলনায় দ্বিগুণ উচ্চতার।


মঙ্গল গ্রহে মিশন :
মঙ্গল গ্রহে মিশন অনেক দুর্লভ হয়ে পড়েছে। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে ২৩টি অভিযানের পর, নতুন সহস্রাব্দে মাত্র ১০টি অভিযান (এখন পর্যন্ত) চালু করা হয়েছে।


ব্যর্থ মিশন বেশি : মঙ্গল গ্রহে মিশন কঠিন, প্রায় এক তৃতীয়াংশ মিশন ব্যর্থ হয়েছে।

তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়