ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা

বিল্লাল হোসেন রাজু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৫, ১৩ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা

কুমিল্লা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় কামরুন্নাহার (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিবারের অভিযোগ পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় কামরুন্নাহারকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্বামী আবদুল করিম এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আবদুল করিম উপজেলার খিলা ইউনিয়নের বান্দুয়াইন গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে।

স্বামীর নির্যাতন আর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গৃহবধূ কামরুন্নাহারের অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের ৯নম্বর মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে আছেন। চোখ মেলে দেখার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন। গত বুধবার সকালে নির্যাতন ও মুখে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টার পর থেকেই ওই গৃহবধূ অচেতন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।  

ওই গৃহবধূর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানান, ২০০১ সালে বান্দুয়াইন গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে আবদুল করিমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পশ্চিম বাতাবাড়িয়া গ্রামের মো. ইউনুস মিয়ার মেয়ে কামরুন্নাহারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক সময় করিম সৌদি আরবে পাড়ি দেন। কয়েক বছর আগে বিদেশে থাকা অবস্থায় নিজ গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন করিম। এরপর ২০১৪ সালে দেশে আসেন।

গৃহবধূ কামরুন্নাহারের ছোট বোন নুরুন্নাহার ও ভাই হাসান আহমেদ সালেহ অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে দেশে এসে গোপনে প্রেমিকাকে বিয়ে করেন আবদুল করিম। ওই বিয়ের পর থেকে তাদের বোনকে বিতাড়িত করতে শুরু করেন নির্যাতন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে তাদের বোনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন করিম। এরপর সকালে কামরুন্নাহারের উপর আবার নির্যাতন শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে দিয়ে কামরুন্নাহারকে হত্যার চেষ্টাও চালান। পরে বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আবদুল করিমকে মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলে এক পর্যায়ে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় খিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি তার নিজের বাড়ির। অমানবিক ঘটনা। তিনিও এ ঘটনায় জড়িত করিমের শাস্তির দাবি করেন।

এ ব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মো. সামছুজ্জামান বলেন, তিনি ঘটনাটি জেনেছেন। ওই গৃহবধূর পরিবারকে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/কুমিল্লা/১৩ জুলাই ২০১৭/বিল্লাল হোসেন রাজু/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়