ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মেসেজের উত্তর দিতে বাধ্য করবে যে অ্যাপ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২০ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেসেজের উত্তর দিতে বাধ্য করবে যে অ্যাপ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : টিনেজরা যেন তাদের পিতামাতার ফোনকল বা মেসেজ উপেক্ষা না করতে পারে, সেজন্য বিশেষ অ্যাপ তৈরি করেছেন একজন পিতা।

লন্ডনের বাসিন্দা নিক হার্বার্টের ১৩ বছর বয়সি ছেলে জরুরি মুহূর্তে প্রায়ই তার ফোন রিসিভ বা মেসেজের উত্তর না দেওয়ায়, ছেলেকে মেসেজের উত্তর দিতে বাধ্য করতে নতুন এই উপায় বের করেন হার্বাট।

৪৫ বছর বয়সি এই ব্যক্তি ‘রিপ্লে এএসএপি’ (ReplyASAP) নামক একটি এমন একটি মেসেজিং অ্যাপ তৈরি করেছেন, যেটি প্রাপকের ফোনের স্ক্রিনে স্থায়ী ভাবে মেসেজ প্রদর্শন এবং অ্যালার্ম বাজাতে থাকে, মেসেজের উত্তর না দিয়ে যা বন্ধ করা যাবে না।

এছাড়া সন্তান যদি তার বাবা-মায়ের মেসেজটি দেখে থাকে এবং ফোন বন্ধ করে দেয় তাহলে মেসেজটি যে দেখা হয়েছে, তা নিশ্চিতে প্রেরকের ফোনে পেন্ডিং চিহ্ন দেখাবে।

হার্বাট প্রথমে এই অ্যাপটি কেবল তার সন্তানের জন্য তৈরি করলেও, এখন সকল বাবা-মাকে সহায়তা করার জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি জানান, তার সন্তান স্কুলে বা বাইরে থাকাকালীন সময়ে ফোন সাইলেন্টে রেখে গেম খেলায় ব্যস্ত থাকতো এবং প্রায়ই তার মেসেজ উপেক্ষা করতো, যা তার মনে উদ্বেগের ‍সৃষ্টি করতো। তিনি আশা করেন, অ্যাপটি তাদের সম্পর্ককে আরো ভালো করে তুলবে।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন তাকে ফোনে পাব না কিন্তু অন্তত এটা জানবো যে আমার পাঠানো মেসেজটি সে দেখেছে, তখন নিশ্চিতভাবেই কিছুটা উদ্বেগ কমবে।’

১ জন ব্যবহারকারী অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য খরচ পড়বে ০.৯৯ বিট্রিশ পাউন্ড, চার জনের ক্ষেত্রে ২.৪৯ বিট্রিশ পাউন্ড, ১০ জনের ক্ষেত্রে ৬.৯৯ বিট্রিশ পাউন্ড এবং ২০ জনের ক্ষেত্রে ১২.৯৯ বিট্রিশ পাউন্ড।

এ অ্যাপটিতে বাবা-মায়েরা সন্তুষ্ট হতে পারে কিন্তু হার্বার্ট স্বীকার করেন যে, টিনেজরা হয়তো অস্তুষ্ট হবে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু তারা টিনেজ বয়সের তাই আমি স্বীকার করি যে তারা এটি তাদের ফোনে ব্যবহারে আগ্রহী হবে না। আমার সন্তান এই অ্যাপটি সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলেনি। এটা আসলে বোঝানোর বিষয় যে, কেন এই অ্যাপটি তাদের ফোনে রাখা হয়েছে।’

‘আমার যদি কখনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার থাকে, তাহলে জরুটি ভিত্তিতে এই অ্যাপের মাধ্যমে তাকে মেসেজ পাঠাবো। এটি জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগটাকে অনেকটা সহজ করে দেবে।’ 

‘কিন্তু এটা কি তাদের জীবনের জন্য অস্বস্তিকর হবে না? হয়তো, কিন্তু আমি তো তার সঙ্গে কথা বলতে সব সময় এটির ব্যবহার করবো না। যখন যোগাযোগে ব্যর্থতার ‍সৃষ্টি হবে, কেবল তখন।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়