ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পৃথিবীতে পুনর্জন্ম!

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৮ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পৃথিবীতে পুনর্জন্ম!

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০ বছর বয়সি রাশিয়ান এক যুবক যে দাবী করে আসছেন, তাতে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। তার দাবী, তিনি পৃথিবীতে পুনর্জন্মের আগে মঙ্গল গ্রহে বসবাস করতেন। পারমাণবিক বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে সচেতন করতে তাকে পাঠানো হয়েছে।

বরিসকা কিপরিয়ানওভিচ নামক এই যুবক তার পৃথিবীর বাইরের জ্ঞান দিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় রেখেছেন।

তার বাবা-মা দাবি করেন, বরিসকা জন্মগ্রহণের কয়েক মাস পরে কথা বলতে সক্ষম হয় এবং প্রায়ই এমন বিষয়ে আলোচনা করে যা তারা তাকে কখনোই শেখায়নি, যেমন ভীনগ্রহের জীবনযাপন। মাত্র দুই বছর বয়সই সে লিখতে, পড়তে এবং পৃথিবীর বাইরের জগতের চিত্রঅঙ্কণ করতে সক্ষম হয়ে চিকিৎসকদের বিস্মিত করে।

তার মা, যিনি নিজেও পেশায় একজন চিকিৎসক, তিনি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলেন বরিসকা ‘বিশেষ’ শিশু, কারণ জন্মের দুই সপ্তাহ পর কারো সাহায্য ছাড়াই সে তার মাথা তুলতে পেরেছিল। বরিসকার বাবা-মা তাদের প্রতিভাবান ছেলের মঙ্গল গ্রহের পূর্ববর্তী জীবন সম্পর্কে বিশ্বাস করেন।

বরিসকার মা বলেন, ‘শৈশবে তার পৃথিবীর বাইরের জগতের অগাধ জ্ঞান যখন আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞানী, ইউএফও বিশেষজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদদেরকে সামনে তুলে ধরি, তখন সকলেই আমাদের সঙ্গে একমত হয় যে, তার বলা কাহিনিগুলো শিখিয়ে তৈরি করা অসম্ভব ব্যাপার।’

রাশিয়ার ভলগোগার্ড শহরের যুবক বরিসকা দাবী করেন, তিনি ‘যুদ্ধ-বিধ্বস্ত’ মঙ্গল গ্রহের বসবাস করতেন, যা দূরবর্তী অতীতে একটি পারমাণবিক বিপর্যয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, প্রায় সাত ফুট লম্বা মঙ্গল গ্রহের অনেক অধিবাসী এখন সেখানকার ভূগর্ভে বসবাস করছেন।

বরিসকার তথ্যানুযায়ী, মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দারা অমর এবং ৩৫ বছর বয়সের পরে তাদের বয়স বৃদ্ধি থেমে যায়। তারা প্রযুক্তিগতভাবে অনেক আধুনিক। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যদি পারমাণবিক যুদ্ধের ব্যাপারে এখনো সাবধান না হই, তাহলে তার মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দাদের মতো একই বিপর্যস্ত জীবনের মুখোমুখি হবো।’ পৃথিবীকে রক্ষার বিশেষ মিশনে তার পুনর্জন্ম হয়েছে এবং তিনি শুধু এক নন, তার মতো আরো অনেকেই এই মিশনে পৃথিবীতে পুনর্জন্ম নিয়েছে। মঙ্গলগ্রহ থেকে প্রায়ই স্পেসশিপে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।

১১ বছর বয়সে বরিসকা স্কুলজীবনে ব্যাখা করেছিলেন যে, পৃথিবীর প্রাচীন মিশরীয়দের সঙ্গে মঙ্গলগ্রহের অধিবাসীদের কেমন শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল এবং কিভাবে তিনি একবার একটি পাইলট হিসেবে পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন।

তিনি জানান, গ্রেট স্পিনেক্স পিরামিড ‘আনলকড’ হয়ে গেলে পৃথিবীর জীবন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হবে এবং খোলার প্রক্রিয়াটি একটি কানের পিছনে লুকানো রয়েছে।

প্রথাগত চিকিৎসকরা, বরিকসার অস্বাভাবিক ক্ষমতা স্বীকার করেছে কিন্তু তারা বিশ্বাস করেন না যে, সে পূর্বের জীবনে মঙ্গলগ্রহে বাস করতো। গবেষকরা তাকে বিস্ময়কর মেধাবী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পৃথিবীর বাইরে জগত সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীদের হতবাক করেছে।



তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ নভেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়