ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অ্যালিয়েনদের কাছে বার্তা পাঠালেন বিজ্ঞানীরা

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১৯ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অ্যালিয়েনদের কাছে বার্তা পাঠালেন বিজ্ঞানীরা

প্রতীকী ছবি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহের অর্থাৎ ভিনগ্রহের প্রাণীদের বলা হয়ে থাকে, অ্যালিয়েন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে।

জীবন ধারণের উপযোগী এমন দুইটি গ্রহের অ্যালিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের আশায় বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি বার্তা পাঠিয়েছেন।

জিজে ২৭৩ নামক একটি লাল বামন নক্ষত্রের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এটি লুইটেনের নক্ষত্র নামেও পরিচিত। এই বামন নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে ১২.৩৬ আলোবর্ষ দূরে অবস্থিত, পৃথিবী থেকে পাঠানো সংকেত সেখানে পৌঁছাতে ১২ বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

যদি অ্যালিয়েনরা কোনো ফিরতি বার্তা পাঠায়, তাহলে তা ২০৪২ সালে পৃথিবীতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু সবাই এমন পরিকল্পনায় খুশি নয়। অধ্যাপক স্টিফেন হকিং সহ অনেক বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই সতর্ক করে আসছেন যে, যদি অ্যালিয়েনরা আমাদের আবিষ্কার করে তাহলে তারা ‘পৃথিবীর জীবনকে’ শেষ করতে পারে।

লুইটেনের নক্ষত্রের উদ্দেশ্যে তরঙ্গ বার্তা পাঠিয়েছেন মেসেজিং এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেস্ট ইন্টারন্যাশনালের (এমইটিআই) জোতির্বিজ্ঞানীরা।

স্পেস ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এমইটিআই-এর প্রেসিডেন্ট ডগলাস ভাচক বলেন, ‘এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প, যা আমি মনে করি আমাদের ১০০ বার, বা ১ হাজার বার, বা ১ মিলিয়ন বার করা প্রয়োজন। এই প্রকল্পের বড় সাফল্য আসবে এখন থেকে ২৫ বছর পরে, যদি সেখানকার কেউ যোগাযোগ করে।’

তরঙ্গ বার্তাটিতে বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক টিউটোরিয়াল এবং সেইসঙ্গে সোনার মিউজিক উৎসবের শিল্পীদের তৈরি ৩৩টি ছোট সংগীত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা বাইনারি কোডে পরিণত করে দুইটি ভিন্ন বেতার তরঙ্গে ইনকোয়ারেন্ট স্ক্যাটার সায়েন্টিফিক অ্যাসোসিয়েশন রেডিও অ্যান্টেনা (নরওয়েতে অবস্থিত) ব্যবহার করে ৩ দিনে পাঠানো হয়েছে। এই রেডিও অ্যান্টেনাটি নরওয়েতে অবস্থিত।

অ্যালিয়েনরা যদি বার্তা অর্থাৎ সংকেতে সাড়া দেয়, তাহলে সেই সংকেত ২০৪২ সালে পৃথিবী পাওয়া সম্ভব হবে।

বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সহ কয়েকজন সমালোচক সতর্ক করেছেন যে, স্পেসে বার্তা প্রেরণ করা ঝুঁকিপূর্ণ, যখন আমরা জানি না অ্যালিয়েনরা কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ। এই পদার্থবিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, যদি অ্যালিয়েনরা পৃথিবী আবিষ্কার করে তবে তারা আমাদের গ্রহকে জয় করতে চাইবে এবং উপনিবেশ করতে চাইবে।

তবে মি. ভাচক মনে করেন, লুইটেনের নক্ষত্রে বার্তা পাঠানোতে ঝুঁকির কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘এমন দৃশ্য কল্পনা করা সত্যিই কঠিন যে, লুইটেনের নক্ষত্র থেকে একটি সভ্যতা পৃথিবীতে আসবে এবং আমাদেরকে হুমকির মুখে ফেলবে। তারা আমাদের বিকিরণ সহ্য করার মতো উপযুক্ত নয়।’

এমইটিআইয়ের গবেষকরা লুইটেনের নক্ষত্রকে নির্বাচন করার কারণ হচ্ছে, এটি পৃথিবী থেকে খুব বেশি দূরে নয় এবং এর দুইটি গ্রহ সম্ভাব্য বাসযোগ্য হিসেবে পরিচিত। গবেষকদলটি লুইটেনের নক্ষত্রে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফায় বার্তা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে, অ্যালিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের আশায়।

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ নভেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়