ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জার্মানিতে শিশুদের স্মার্টওয়াচ ধ্বংসের নির্দেশ

মো. রায়হান কবির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ২০ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জার্মানিতে শিশুদের স্মার্টওয়াচ ধ্বংসের নির্দেশ

প্রতীকী ছবি

মো. রায়হান কবির : উন্নত বিশ্বে স্মার্টওয়াচ শুধু ফ্যাশন কিংবা ফোন রিসিভ করার জন্যে ব্যবহার করা হয় না। বরং সেখানে স্মার্টওয়াচ বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, নজরদারি বা গোয়েন্দাগিরি।

ঠিক গোয়েন্দাগিরি বলতে যা বোঝায় সেরকম নয়। এখানে গোয়েন্দাগিরি বলতে বোঝানো হয়েছে কোনো মা তার সন্তান ঠিকমতো ক্লাস করছে কিনা কিংবা তার টিচারের লেকচার না শুনে ক্লাসে গল্প করছে কিনা সেটা জানার জন্য স্মার্টওয়াচের ব্যবহার।

জার্মানিতে বিক্রি হওয়া স্মার্টওয়াচগুলোতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়। ফলে অনেক অভিভাবক বাসায় বসে সন্তানের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন। কিন্তু এতে করে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেও পাচার হতে পারে। তাই দূর নিয়ন্ত্রিত এসব চিলড্রেন স্মার্টওয়াচ জার্মানির টেলিকম রেগুলেটর ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছে।

জার্মানির টেলিকম রেগুলেটর ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি ঘোষণা দিয়েছে এসব চিলড্রেন স্মার্টওয়াচ শুধু ধ্বংস করলেই হবে না, ধ্বংস করে তার জন্য সার্টিফিকেটও নিতে হবে। ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য তৈরি এসব স্মার্টওয়াচ এখন জার্মানির আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কল করা বা অন্য কাজে ব্যবহৃত ‘অ্যাপল স্মার্টওয়াচ’ জার্মানির আইনে ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়।

এর আগেও জার্মানিতে এমন গ্যাজেট বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে একটি পুতুল। ‘মাই ফ্রেন্ড কায়লা’ নামের পুতুলটির বিরুদ্ধেও আলাদা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে গোয়েন্দাগিরি বা তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ করা হয়। যেমন ভারতে নিষিদ্ধের পর্যায়ে পড়েছে জনপ্রিয় মোবাইল ব্রাউজার ইউসি ব্রাউজার। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইউসি নাকি ভারতীয়দের তথ্য চীনে পাচার করে। আমাদের দেশে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ এখনো চোখে পরেনি। তবে নতুন কোনো প্রযুক্তি বাজারে আসলে তা জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি স্বরূপ কিনা তা যাচাই করেই ব্যবহারের অনুমতি দেয়া উচিত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ নভেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়