ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নিরপেক্ষ ভোটে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান ফখরুলের

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিরপেক্ষ ভোটে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান ফখরুলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট করে দুই দলের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, আমরা নাকি ৮ ভাগও ভোট পাবো না। তাহলে আপনারা ভোট দিচ্ছেন না কেন?’

‘একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দেন, দেখা যাক কে কত ভোট পায়। আপনারা হলে আপনারা থাকবেন, আমরা হলে আমরা থাকবো। সেটাও দিবেন না। কারণ, আপনারা জানেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিলে আপনারা ৮ ভাগ ভোটও পাবেন না,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।

দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২ তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বই প্রদর্শনী, পাঠক পরিচয়পত্র বিতরণ এবং বই সংগ্রহ কর্মসূচি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন করলেন আপনাদের প্রিয় মানুষদেরকে দিয়ে। আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ মানুষদেরকে দিয়ে গঠন করুন। সেটা না করে আপনাদের প্রিয় মানুষদেরকে দিয়ে গঠন করলেন। তারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন নতুন ইউনিয়নগুলোর সীমানা নির্ধারণ না করেই। এতেই বোঝা যায় তারা (নির্বাচন কমিশন) সুষ্ঠ নির্বাচন করতে পারবেন না।’

ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘ভরাডুবি অবধারিত ছিলো’ দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সেই কারণে তারা নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সহজে নির্বাচন করবে না। কারণ, তারা জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তারা কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আর ক্ষমতায় আসতে না পারলে এদের যে কি হাল হবে এদেশের জনগণ খুব ভাল করেই জানে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ একটাই। তা হলো, বিএনপির মিটিং বন্ধ করা। শীতার্তদের মাঝে কম্বল দিলেও নাকি অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি, অনুমতি করতে করতে তারা বাংলাদেশকে শেষ করে ফেলেছে। শুধু একজন থাকবে যার কোন অনুমতি লাগবে না। একটা দল থাকবে যাদের কোন অনুমতি লাগবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদেরকে অনুমতির দিন শেষ করতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ করতে হবে। সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টের মামলা কখনও দুদকে হতে পারে না। শুধু রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন তাকে কোর্টে যেতে হচ্ছে। এটি নজিরবিহীন নির্যাতন। এর জবাব জনগণ দেবে।’

উপযুক্ত সময়ে বিএনপি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

‘যখন আমাদের রাজনৈতিক সুবিধা হবে আমরা অবশ্যই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবো। খুব স্পষ্ট কথা বলছি, কৌশলগতভাবে যখন আমরা মনে করবো এটা আমাদের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়, সেই সময় আমরা রূপরেখা দেবো।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়