ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘খালেদার সাজা রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘খালেদার সাজা রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রতিক্রিয়া কতটা ব্যাপক ও গভীর হবে সরকার তা জানে না। খালেদা জিয়ার এই কারাবরণ রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হবে  এবং এর জবাব জনগণ আগামী নির্বাচনে ব্যালটে দেবে।’

শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার এ কারাবরণ মিথ্যা মামলার ওপর ভিত্তি করে। একটি ভুয়া-বানোয়াট অভিযোগ এনে তাকে কারাবরণ করিয়েছেন। কিন্তু এটাই হবে আমাদের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। সরকার একটি পলিটিক্যাল ব্লান্ডার করতে চাচ্ছে। এটি পলিটিক্যিাল ব্লান্ডার অব দ্য পার্ট অব দ্য গভর্মেন্ট। এর প্রতিক্রিয়া যে ব্যাপক এবং গভীর হবে সেটা সরকার উপলব্ধি করতে পারেনি। আমাদের তার মুক্তির জন্য সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।  সরকার যে অপরাধ করেছে তার জবাব দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।’

খালেদা জিয়াকে জনবিচ্ছিন্ন করতেই তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে  উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজকে তাকে যেখানে রাখা হয়েছে এটাকে আমি বলতে চাই সলিটারি কনফাইনমেন্ট, নির্জন কারাবাস। সেখানে কোনো স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে না। অন্য কোনো কারাবন্দি সেখানে নাই। একটা পরিত্যক্ত বাড়ি, সেটা কী রকম বাড়ি আপনারা সেটা বুঝতেই পারছেন, সেখান থেকে কারাগার স্থানান্তর করা হয়েছে কেরানীগঞ্জে। আজকে সেখানে তাকে রাখা হয়েছে। সলিটারি কনফাইনমেন্ট আমাদের দেশে সাধারণত ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মাঝে মাঝে রাখা হয়। তাকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে স্বাভাবিক জায়গায় রাখা হোক এবং যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার সব কিছু যেন তিনি পান।’

প্রাক্তন এ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে কিন্তু তাকে (খালেদা জিয়াকে) শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে দণ্ডবিধির ১০৯ ও ৪০৯ ধারা অনুযায়ী, সেটা হলো ক্রিমিনাল ব্রিচ অব কন্ট্রাক্ট। করাপশনের চার্জে তার শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্টে।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যে অবস্থায় রাখা হয়েছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেই মনে করি। তাকে যেখানে রাখা হয়েছে এটাকে আমি বলতে চাই নির্জন কারাবাস। সেখানে এখন অন্য কোনো বন্দি নেই।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের  ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার মহাসচিব ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়