ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে : বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২১ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের’ অধীনে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এর আগে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে বলেও শর্ত দিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা নির্বাচন চাই। তবে সেই নির্বাচনে সমান নির্বাচনী মাঠ তৈরি করতে হবে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’

‘সেজন্য বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুসারে নির্বাচনকালীন সরকার থাকতে হবে এবং সবার আগে খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি দিতে হবে’, বলেন তিনি।

বিএনপির নির্বাচনে আসুক সেটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চায় না বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

১৬ জুন ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ)।

আদালতের ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের আদালত হচ্ছে আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। অথচ এখন সেই আদালতে যেতেও আমাদের এখন ভয় হয়। কারণ আদালতকে ব্যবহার করেই দেশের জনপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।’

দেশ কঠিন সংকট পার করছে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান সংকট দূরীকরণে জাতীয় ঐক্য দরকার এবং দেশের মানুষকে নিয়েই সেই (বিএনপি) জাতীয় ঐক্য আমাদের সৃষ্টি করতে হবে।

‘আমরা দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যাচ্ছি, তাদেরকে বলছি, রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি এসব কথা বাদ দিন; অন্তত দেশটাকে বাঁচতে দিন। এগিয়ে আসুন। দেশটাকে বাঁচাতে হবে।’

বর্তমানের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই দাবি করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। কারণ তখন সংবাদপত্র বন্ধ করতে আইন করে রাষ্ট্রীয় বিধান করা হয়েছিল। এখন তথাকথিত অনির্বাচিত সরকারের আমলে গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তার চেয়ে বেশি করা হচ্ছে।’

দলের নেতাকর্মীদের হতাশ না হয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

‘হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না। লড়াই করো, লড়াই করেই আমরা একটি জায়গায় বসব। এটা আমার দৃঢ়বিশ্বাস এবং সেজন্য আমাদেরকে বাংলাদেশের সমগ্র জায়গায় যেতে হবে, যাচ্ছিও। মানুষকে জাগাতে হবে, সাহস যোগাতে হবে, তাহলেই গণমানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে।’

সভায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৮/রেজা/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়