ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১৭৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৭৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানি বিলের বিপরীতে জনতা ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিসেন্ট গ্রুপের এম এ কাদের ও এম এ আজিজসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

রোববার রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই মামলাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।

মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, তার ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজ, ক্রিসেন্ট গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাঁচ পরিচালক এবং ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও আব্দুল আজিজ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রূপালি কম্পোজিট লেদার লিমিটেডের পরিচালক সামিয়া কাদের নদী, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরিচালক সুলতানা বেগম, পরিচালক রেজিয়া বেগম, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুন জাহান মীরা ও মেসার্স লেক্সকো লিমিটেড পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।

এছাড়া জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ব্যাংকটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, পিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়ার পিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী, মো. খায়রুল আমিন, বাহারুল আলম, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, এস এম শরীফুল ইসলাম, ডিজিএম (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল, এ কে এম আসাদুজ্জামান, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মো. জাকির হোসেন ও ডিমডি ফখরুল আলম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রপ্তানি না করে ভুয়া নথিপত্র দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ ওই অর্থ জনতা ব্যাংক থেকে রপ্তানি ঋণ সুবিধা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের নামে ৫০০ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের নামে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা, লেক্সকো লিমিটেডের নামে ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯ টাকা, রুপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিচেডের নামে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নামে ৬৪৮ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৭ টাকা জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের দায়ে মানিলন্ডারিং আইনে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও সরকারি ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

চকবাজার মডেল থানায় দায়ের করা ৩ মামলায় ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪২২.৪৬ কোটি টাকা, ৪৮১.২৬ কোটি টাকা ও ১৫.৮৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই তিন মামলায় আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনি, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও এমডি লিটুল জাহান (মিরা), জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ডিএমডি (সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন জিএম) মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি (তৎকালীন জিএম জনতা ব্যাংক লিমিটেড) ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম আসাদুজ্জামান, মো. ইকবাল, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আতাউর রহমান সরকার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বারখাস্ত) মো. খায়রুল আমিন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. মগরেব আলী, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. সাইদুজ্জাহান, মো. মনিরুজ্জামান ও মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।

এ ঘটনায় ওই দিনই ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ/শাহনেওয়াজ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়