ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সংবিধানের আলোকে পরামর্শ গ্রহণ করা হবে

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৩১ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংবিধানের আলোকে পরামর্শ গ্রহণ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সংলাপে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা থেকে যেসব বিষয় সংবিধানসম্মত তা গ্রহণ করা হবে।

নাগরিক প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ শেষে সোমবার বিকেলে কমিশনের কনফারেন্স কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার, সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমদিনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা এসেছে। এসব পরামর্শ ও প্রস্তাবনা থেকে যেসব বিষয় সংবিধানসম্মত এবং আইন কাভার করে, সেসব বিষয় গ্রহণ করা হবে।’

সিইসি আরো বলেন, এরই মধ্যে সংলাপের সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। সকল পক্ষের সাথে সংলাপ শেষে আগামী জানুয়ারিতে এসব প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হবে। প্রতিবেদনটি সব রাজনৈতিক দলকে পাঠানো হবে। আলোচনারও সুযোগ থাকবে।

তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা পরামর্শ নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারবাহিক সংলাপের অংশ হিসাবে পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা হবে। সবার বক্তব্য শুনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন করবো। সেখান থেকে যেসব উপাদান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করা প্রয়োজন সেগুলো আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলো আমরা চিন্তা করবো।

তাদেরকে আমরা আশ্বস্ত করেছি- আইনের আলোকে নির্বাচন পরিচালনার যে ক্ষমতা ইসির সাংবিধানিকভাবে রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে করা হবে।

সিইসি বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনকে ‘সাহসিকতার’ সঙ্গে কাজ করার জন্যে। জনগণের আস্থা অর্জনের তাগিদ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে সংলাপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কমিশনের সব কার্যক্রম নিরপেক্ষভাবে করা হয়েছে। বলা যায়- আস্থা অর্জনের কাজগুলো কমিশনে করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইসি একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। সেখানে সরকারের কারা থাকবে বা কারা থাকবে না সেটা মুখ্য বিষয়ের চেয়েও বড় কথা হল কঠোরভাবে, কঠিনভাবে এ নির্বাচন পরিচালনা আমাদের করতে হবে। জাতি আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে সুষ্ঠু, ভালো নির্বাচন। আমরা যেনো তা করতে পারি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তা মনে করে দিয়েছে।

সংলাপের মাধ্যমে সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে অনেকে বলেছেন এসব ইসির এখতিয়ারভূক্ত না। সরকার গঠন করা বা কেয়ারটেকার গঠনে কোনটা ইসির এখতিয়ারে রয়েছে, কোনটা নেই- ওনারা বিজ্ঞ ব্যক্তি, তারা জানেনও। তবে সবার কথা প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে পাঠাবো এমনকি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠাবো। তারা দেখুক, এ দেশের নাগরিক যারা রয়েছেন তাদের ভাবনা কী। সংবিধানের আলোকে আমাদের আরো স্বাধীনতা দেওয়ার থাকে সে ক্ষেত্রগুলোকে অ্যাড্রেস করা উচিত।

সংলাপের মাধ্যমে বিএনপিকে আস্থায় কিংবা সরকারকে চাপে রাখবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, এটা বলতে পারব না। আমার তো মনে হয়,  সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছবে সুশীল সমাজ কী ভাবেন। যারা বিরোধী দলে বা সংসদের বাইরে রয়েছে তাদের কাছেও তা পৌঁছে যাবে। আমার মনে হয়, এতে তারা একটা সমঝোতায় আসতে পারবেন। আমরা ধারণা- এর মাধ্যমে একটা প্রভাব পড়বে; তবে বাধ্য করতে পাবর কিনা জানি না।

সিইসি জানান, সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপে ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে যেমন অনেকে দাবি তুলেছেন, তেমনি সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিলে পুলিশ, বিজিবি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অন্যদের ক্ষমতা খর্ব হবে বলেও মত দিয়েছেন।



রাইজিংবিডি/ ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৭/হাসিবুল/সাইফ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়