ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে অপপ্রচার চালালে ব্যবস্থা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে কেউ অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে অপপ্রচার চালায়। এসব অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর জন্য অপরিহার্য ও নিরাপদ। এ ক্যাপসুল খেলে শিশুর কোনো ক্ষতি হবে না, বরং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে এবং শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

কুচক্রী মহলের নেতিবাচক প্রচারণায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শনিবার
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ২ কোটির অধিক শিশুকে ১৪ জুলাই (শনিবার) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সুস্থ জাতি গঠনের লক্ষ্যে দেশের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি সফল করতে হবে।

তিনি বলেন, শনিবার দেশের ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সকল কেন্দ্র খোলা থাকবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে দুজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

‘৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৪ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে আনতে হবে এবং জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক হবে না। এছাড়া, অসুস্থ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না’, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ক্যাম্পেইন দিবসেই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে ১২টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন পরবর্তী চার দিন (১৫-১৯ জুলাই) শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুলাই ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক