ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জুনায়েদের দেড়শ, ওয়ালটনের ৪ উইকেট

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জুনায়েদের দেড়শ, ওয়ালটনের ৪ উইকেট

ম্যাচের একটি দৃশ্য (ছবি : আব্দুল্লাহ আল মামুন)

ইয়াসিন হাসান, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সবুজ ঘাসের উইকেট। কাঁচা মাঠে ভোরের শিশির তখনও পুরোপুরি শুকায়নি, মিষ্টি রোদটাও বেশ লাগছিল গায়ে। সাথে ঠান্ডা হাওয়া বাড়তি পাওয়া।

উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায় বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে টস জিতে বিসিবিকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করলেন না তরুণ দেওয়ান সাব্বির। তবে শুরুর দিকের এ সাফল্য দিনের শেষ পর্যন্ত টিকেনি। জুনায়েদের ১৭২ রানে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে বিসিবি একাদশ। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩২৭ রান করেছে বিসিবি একাদশ। 

 



ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য পায় বিসিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন। নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দলের টেস্ট ক্যাপ পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত দেওয়ান সাব্বিরের সোজা ডেলিভারি বুঝতে না পেরে ছেড়ে দেন। খানিকটা বেঁকে বল আঘাত করল প্যাডে। আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান আঙুল তুলতে ভুল করলেন না। উল্লাস ওয়ালটন শিবিরে।

বোলিং সহায়ক উইকেটে মুহূর্মুহু আক্রমণে ওয়ালটনের তিন পেসার। সাথে স্পিনার শুভাগত হোম। শুরুর ধাক্কাটা বেশ ভালোভাবেই সামলে নেন জুনায়েদ সিদ্দীক ও জহুরুল ইসলাম অমি। ৮০ রান যোগ করেন তারা। প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান জমা করে বিসিবি।

 



মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় সাফল্য পায় ওয়ালটন। পেসার শহীদুল ধারাবাহিক বোলিংয়ের পুরস্কার পান বিরতির ঠিক পর। ডানহাতি পেসারের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন বিসিবির অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে সোহানের হাতে ৩৯ রানে ক্যাচ দেন অমি। ১২ মিনিটের ব্যবধানে তৃতীয় সাফল্য পায় ওয়ালটন। স্পিনার শুভাগত হোমের বলে সাজঘরে ফিরেন নাঈম ইসলাম (১)। লেগ সাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে লেগে বল প্যাডে আঘাত করে আকাশে উঠে যায়। শর্ট লেগে দৌড়ে ক্যাচ ধরেন কাজী নুরুল হাসান সোহান।

দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিয়ে চালকের আসনে ছিল ওয়ালটন। বিসিবি শিবিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় ওয়ালটন। নেতৃত্বে ছিলেন শাহাদাত। ক্রিজে আসা নাসির হোসেনকে একের পর এক শর্ট বলে বিভ্রান্ত করেন শাহাদাত। জুনায়েদ সিদ্দীকেও ভাগ্যবান বলতে হবে। পেসার শহীদুলের বলে দুইবার ইনসাইড এজ হয়ে বেঁচে যান। দুবারই বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। পাশাপাশি তাইবুর পারভেজের বলে দুইবার বল হাওয়ায় উঠিয়ে দিয়েছিলেন। কোনো ফিল্ডার না থাকায় বেঁচে যান জুনায়েদ।

 



চা-বিরতির আগে ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বিরতির পর শহীদুলের বলে ড্রাইভ করে লং অনে পাঠিয়ে ৩ রান নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন জুনায়েদ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটি তার ১১তম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর হাতখুলে খেলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। দ্রুত দেড়শর ঘরে পৌঁছে যান। অন্যপ্রান্তে থাকা নাসির হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। শহীদুলের বলে সোহানের হাতে ক্যাচ দেন ৫৫ রান করা নাসির। 

চতুর্থ উইকেটে ১১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ধীমান ঘোষ ও জুনায়েদ। জুনায়েদ দিনের শেষ প্রান্তে দ্রুত রান তুলেন। অন্যদিকে ধীমান ঘোষ সেট হয়ে আক্রমণে যান। ২৭৬ বলে ১৯ বাউন্ডারিতে ১৭২ রানে অপরাজিত থাকেন জুনায়েদ। ধীমান ঘোষ ৮৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫১ রান।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়