আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের খুব কাছে সালমান বাট
ক্রীড়া ডেস্ক : ২০১০ সালে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি প্রায় সবারই জানা। ইংল্যান্ড সফরে ফিক্সিংয়ে ‘নাটের গুরু’ ছিলেন সালমাট বাট। বাকি দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমির ছিলেন সালমানের ট্রামকার্ড।
তিন ক্রিকেটারকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মোহাম্মদ আমির জাতীয় দলে ফিরলেও সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ এখনও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বলছে খুব শীঘ্রই জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে সালমান বাটকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ নির্বাচক প্যানেল। তাই বাঁহাতি এ ওপেনার দ্রুতই ফিরতে পারেন জাতীয় দলে। তবে জাতীয় দলে ঢোকার আগে তাকে আরেকটি পরীক্ষা দিতে হবে। পিসিবি প্রথমে বাটকে পাকিস্তান ‘এ’ দলে রাখবে। সেখানে ভালো করলেই জাতীয় দলের দরজা খুলবে ৩২ বছর বয়সি এ ক্রিকেটারের।
পিসিবির প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক বলেছেন, ‘ফিরে এসে ও ভালো খেলছে। আমরা তাকে জাতীয় পর্যায়ের জন্য বিবেচনায় আনছি। ও আমাদের হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্পে ছিল। সেখানে ওকে দেখে দারুণ লেগেছে। সবচেয়ে বড় কথা একটা খেলোয়াড় পাঁচ বছর ধরে খেলার বাইরে তারপরও সে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফিটনেস ধরে রেখেছেন। দল নির্বাচনের যে চাহিদা রয়েছে তার সবটুকুই সে পূরণ করেছে। আমরা তাকে জাতীয় দলের জন্য সরাসরি নির্বাচন করছি না। আমরা তাকে প্রথমে ‘এ’ দলের জন্য বিবেচনা করছি। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় দলে নিয়ে আসা হবে।’
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেন সালবাট বাট। পাঁচ বছর পর ক্রিকেটে ফিরে ন্যাশনাল ওয়ানডে কাপে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান। ওই টুর্নামেন্টে ১০৭.২০ গড়ে ৫৩৬ রান করে হয়েছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে ফাইনাল ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান। ৪৯.৪০ গড়ে টুর্নামেন্টে রান করেন ৭৪১। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও হেসেছে সালমান বাটের ব্যাট। ৭০ গড়ে ৩৫০ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন।
গত মার্চেই দলে ফিরতে পারতেন সালমাট বাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাকে বিবেচনায় এনেছিল নির্বাচকরা। কিন্তু পিসিবির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান সবুজ সংকেত না দেওয়ায় তাকে দলে নিতে পারেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন