ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহদের হারিয়ে টিকে রইলেন তামিমরা

শামীম হোসেন পাটোয়ারি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৬, ২১ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাহমুদউল্লাহদের হারিয়ে টিকে রইলেন তামিমরা

ক্রীড়া ডেস্ক : শেষ ওভারের নাটকীয়তায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে হেরে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে উড়ে গেছেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহরা।

পিএসএলের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচ গতকাল রাতে মুখোমুখি হয় তাদের দল। সেখানেও শেষ ওভারের নাটকীয়তায় মাহমুদউল্লাহর কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ১ রানে হারিয়ে টিকে রয়েছে তামিম ইকবালের দল পেশোয়ার জালমি।

প্রাথমিক পর্বের লড়াই শেষে এলিমিনেটর পর্বের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে গেছে পিএসএলের দলগুলো। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টিকে থাকার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় কোয়েটা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জালমি। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয় জালমি। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ১৫৬ রানে থামে মাহমুদউল্লাহর দল কোয়েটা।

 


জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কোয়েটার শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। শেষ ওভারে দলটির স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন ব্যাটসম্যান আনোয়ার আলী। লিয়াম দউসনের ওভারের প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় বলে ছক্কার পর লড়াই জমিয়ে তুলেন আনোয়ার আলী।

তৃতীয় বলটি ডট গেলেও ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পর পর দুটি ছক্কায় দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তিনি। এক সময় মনে হয়েছিল জিতে যাচ্ছে কোয়েটা। ওভারে শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ এবং সুপার ওভারের জন্য ২ রান দরকার ছিল কোয়েটার। কিন্তু মিডল স্ট্যাম্পের উপর ফুলটস বলে ব্যাট ছুঁইয়ে দৌড়ে এক রানের পর দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় আউট হন কোয়েটার ব্যাটসম্যান মীর হামজা। ১৪ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আনোয়ার আলী। আর তাতেই মাত্র ১ রানে হারের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাহমুদউল্লাহর দল।

 


এর আগে দলীয় ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুটা ভালো ছিল না কোয়েটার। দলটির হয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ ও সরফরাজ আহমেদ সমান ৩৫ রান করে করেন। ২০ বলে ৩টি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করে উমাইদ আসিফের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ১২ রান করেছিলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা।

টস হেরে এর আগে ব্যাট করতে নেমে পেশোয়ারের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন লিয়ম দউসন। ৩৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ রানের বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। শুরুতেই উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে খেলার চেষ্টা করেন তামিম। আর প্রতিরোধ গড়তে গিয়েই ২৯ বল মোকাবিলা করে ৫টি চারে ২৭ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। এছাড়া ২৫ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৮/শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়