ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

১০ বছর পর সাউথ এশিয়ান আর্চারি প্রতিযোগিতা

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২১, ২২ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১০ বছর পর সাউথ এশিয়ান আর্চারি প্রতিযোগিতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সবশেষ ২০০৮ সালে ভারতের জামশেদপুরে হয়েছিল দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। তার দশ বছর পর শনিবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে ‘তৃতীয় সাউথ এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৮’। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ও ব্লেজার বিডির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় চারদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ২৭ মার্চ শেষ হবে।

বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের এই প্রতিযোগিতায় ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে। ভুটান ও পাকিস্তানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতায় তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। তবে ২৫ মার্চের মধ্যেও যদি তারা আসতে পারে তবে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ডিভিশনে ৬৩ জন পুরুষ ও মহিলা আর্চার অংশগ্রহণ করবেন। দুই বিভাগে ১০টি স্বর্ণ, ১০টি রৌপ্য ও ১০টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩০টি পদকের জন্য লড়বেন চার দেশের আর্চাররা।

আজ বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. আনিসুর রহমান দিপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সামছুর রহমান, বিজিবিএম, পিবিজিএম, এনডিসি, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় আসরের পর দশ বছর কেটে গেল। এরপর তৃতীয় আসর। মাঝে না হওয়ার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল বলেন, ‘আসলে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সামর্থ খুব বেশি নয়। তার উপর ভিসা জটিলতার একটা বিষয় থাকে। সবশেষ ২০০৮ সালে ভারতের জামশেদপুরে হয়েছিল। এরপর নানা কারণে আর সম্ভব হয়নি। তবে এরপর থেকে আমরা প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার চেষ্টা করব।’

আগের দুই আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ও এই আসরের পদক জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম আসরে আমরা ছিলাম খুবই নবীন। দ্বিতীয় আসরে কোনো স্বর্ণ জিততে পারিনি। বেশ কয়েকটি রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। এবারও স্বর্ণ জিততে পারব সেটা নিশ্চিত করে বলছি। সেটা অবশ্য কখনোই আমরা বলি না। কারণ, আর্চারি অনিশ্চয়তার খেলা। এমনও হয় যে ভালো খেলোয়াড়রাও মেডেল জিততে পারে না। আবার যাকে নিয়ে আশা করা হয়নি, সেও মেডেল জিতে ফেলে। তবে ঘরের মাঠে খেলা, আগের চেয়ে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আশা করছি আগের আসরগুলোর চেয়ে ভালো ফল করবে বাংলাদেশ।’

প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত। ভুটানের জাতীয় খেলা আর্চারি হলেও তারা যেটা দিয়ে আর্চারি খেলে সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আর্চারিতে ব্যবহৃত হয় না। তবে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হওয়ায় স্বর্ণ জয়ের প্রত্যাশা থাকতেই পারে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে ভারতের আর্চারদের সঙ্গে এবার লড়াই হবে বাংলাদেশ দলের আর্চারদের। তারা ছেড়ে কথা বলবে না।

বাংলাদেশ থেকে দুটি দল দেওয়া হবে। একটি অভিজ্ঞ। ১৬ জন থাকবে এই দলে। আরেকটি দল তরুণ ও প্রতিভাবানদের নিয়ে হবে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের টেম্পারামেন্ট বোঝার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাদের। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়