ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্বপনকে ৭ টুকরো করে রত্না ও পিন্টু

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১৯ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বপনকে ৭ টুকরো করে রত্না ও পিন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর হত্যার দায় স্বীকারকরা ঘাতক পিন্টুর পরকীয়া প্রেমিকা ও বড় ভাই নিখোঁজ ব্যবসায়ী স্বপন কুমারকে ৭ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রবীর হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে স্বপন হত্যার রহস্য পেয়ে পুলিশ ঘাতক পিন্টুর প্রেমিকা রত্না রানী চক্রবর্তী ও হত্যার প্ররোচনাকারী বড় ভাই মোল্লা মামুনকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে পৃথক আাদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

রত্নার লোমহর্ষক স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে স্বপন কুমারকে রত্নার মাসদাইর এলাকার ভাড়া ফ্ল্যাটে কীভাবে হত্যা করে দেহ ৭ টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়।

স্বপন হত্যা মামলায় রত্না ও মামুনকে ৫ দিনের রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে আজ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে রত্নার ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে মোল্লা মামুনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মুফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, রত্না রানী চক্রবর্তী আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোরর নগরীর মাসদাইর এলাকায় চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় রত্নার ভাড়া ফ্ল্যাটে স্বপনকে ঢেকে নিয়ে শিল-পোতা দিয়ে মাথায় আঘাত করে রত্না ও পিন্টু। পরে অচেতন অবস্থায় স্বপনকে গোসল খানায় নিয়ে বটি দিয়ে ৭ টুকরো করে। পরে পিন্টু ঠান্ডা মাথায় স্বপনের দেহের সাত টুকরো একাধিক ব্যাগে ভরে ভবনের খালি স্থানে রাখে। পরে সুযোগ মতো শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। এরপর প্রচার করতে থাকে স্বপন ভারতে পালিয়ে গেছে।

রত্না জানিয়েছেন, ভারতে একটি ফ্ল্যাট কেনার টাকা নিয়ে স্বপনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হলে পিন্টু তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে গুম করে। গত বুধবার রাতে মাসদাইরে রত্নার ফ্ল্যাট থেকে স্বপন হত্যায় ব্যবহৃত শিল-পোতা, বটি, রক্তমাখা বিছানার চাদর ও তোষক উদ্ধার করে পুলিশ।

পিন্টুর টাকা দিয়ে স্বপন ভারতে ফ্ল্যাট কিনে তাকে বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো টাকার জন্য পিন্টুকে হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনা আমলাপাড়া এলাকার বড় ভাই মোল্লা মামুন পিন্টুকে নানাভাবে প্রভাবিত করলে তখন থেকে স্বপন সাহা ও প্রবীব ঘোষকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে পিন্টু। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে স্বপন নিখোঁজ হয়।

এসআই মুফিজুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত রত্নার বাড়ি থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। পিন্টু ও বাপনকে স্বপন হত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।





রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/১৯ জুলাই ২০১৮/হাসান উল রাকিব/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়