ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘সাকিব বিশ্বের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার’

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সাকিব বিশ্বের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার’

ক্রীড়া প্রতিবেদক : টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি- বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে রয়েছেন সাকিব আল হাসান।

মোহাম্মদ রফিকের পর সাকিব একাই দলকে টানছেন। বিভিন্ন সময়ে একাধিক স্পিনার এসে রেখেছেন অবদান। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার সাকিব বরাবরই ছিলেন অপরিবর্তনীয়। সব মিলিয়ে ৩১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫৩০ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। সাকিবের পর আরেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৯ উইকেট। এরপর রয়েছেন মোহাম্মদ রফিক। তার শিকার ২২০ উইকেট।

শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্ব ক্রিকেটেও সাকিব দুর্দান্ত। তার অভিষেকের পর স্পিনারদের মধ্যে শুধু ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনই পেয়েছেন সবচেয়ে বেশি উইকেট (৫৪৪)। তাইতো সাকিবকে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার বলতে দ্বিধা করেননি বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন সোমবার মিরপুরে বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন যোশি। তারই চুম্বক অংশ রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো:

প্রথম ম্যাচের বোলিং
যোশি: আমার মনে হয় এটা বেশ কঠিন লড়াইয়ের জয় ছিল। বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে ভাঙন ধরিয়ে সত্যিই বেশ ভালো করেছিল এবং ১৯০ (১৯৫) এর মধ্যে আটকে রেখেছিল। বোলিং বিভাগের দিকে যদি দেখেন, স্পিনাররা কিংবা পেসাররা সবাই খুব ভালো বোলিং করেছিল। বোলিং বিভাগের অধিকাংশ বোলারই ৩০ রানের বেশি দেয়নি। তাই এটাকে খুব ভালো বোলিং অবদান বলব।

দ্বিতীয় ম্যাচের পরিকল্পনা
যোশি: আমার মনে হয় মানসিকভাবে আমাদের ইতিবাচক মনোভাবে থাকা জরুরি। আমরা যেমনটা করে যাচ্ছি সেভাবেই নেমে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে।


উন্নতির প্রয়োজন...
যোশি: আমার মনে হয় আমাদের জেতাটা জরুরি। জয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আগামীকাল জিতে যাই, সবকিছুই ঠিকঠাক মতোই হবে। ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে উন্নতির বিষয়ে আপনার প্রশ্নটা ঠিক আছে। ব্যাটি, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং যেটাই হোক, যখন আমরা জিততে চাইব, তখন এ তিনটির দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মূল্যায়ন
যোশি: আমার মনে হয় সাকিব শুধু আমাদের জাতীয় সম্মান ও প্রতিভা নয়, আপনি তাকে বলতে পারেন বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার। তার অবস্থান নিয়ে আমি কিছু বলছি না...। আমি তার গুণের দিকে তাকিয়েই বলছি, বোলার, ফিল্ডার ও ব্যাটসম্যান হিসেবে সে দুর্দান্ত প্রতিভাধর, দক্ষতাসম্পন্ন খেলোয়াড়। এমনকি আমি বলব তার দক্ষতা দেখাতে মাত্র কয়েক সেশনই যথেষ্ট। সময়মতোই তা দেখা যায় এবং একই সাথে সঠিক জায়গায় জ্বলেও ওঠে। আর এটাই আমরা সাকিবের মধ্যে পাই এবং দলের ভেতর-বাইরে প্রচুর কৌশলী সক্ষমতাসহ অনেক অভিজ্ঞতা বয়ে এনেছেন। আর সেটাই দলকে অনেক লাভবান করে তোলে।

দেশের বাইরে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ
যোশি: আমার মনে হয় যখনই দেশের বাইরে যাবেন কন্ডিশন সব সময়ই কঠিন থাকে। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। কন্ডিশনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা জরুরি, নিজের মনোভাবটাও বদলানো জরুরি। প্রতিটি ফরম্যাটেই আপনার মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। যখন আপনি লাল বলে খেলবেন তখন আপনার মনোভাব ভিন্ন হবে এবং সাদা বলের ক্রিকেটে হবে অন্যরকম।

কোচ হিসেবে চ্যালেঞ্জ
যোশি: বাংলাদেশের হয়ে এখনো আমার চ্যালেঞ্জ আসেনি। আমাদের চ্যালেঞ্জটা শুরুই হয়নি। আমি স্পিনারদের নিয়ে সময়টা উপভোগ করছি এবং তারা অনেক ভালো করছে। আমরা নাঈমকে খেলিয়েছি এবং নাঈম টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করেছে। পাকিস্তানেও ইমার্জিং দলের সঙ্গে ভালো করছে এবং গতকাল কয়েকটি উইকেটও পেয়েছে। তাই আরো স্পিনার পাওয়াটা আমাদের জন্য বেশ ভালো।



খেলোয়াড়দের
মনোভাব
যোশি: আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা খুবই বন্ধুভাবাপন্ন এবং আমি তাদের খুব পছন্দ করি। আমাদের ভাষাগত বাধা হিসেবে হিন্দি রয়েছে বলেই পরস্পরের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক। আমরা হিন্দিতে বেশ সাবলীল। তারাও সাবলীল, আমিও। খেলোয়াড়রা যদি খুশি থাকে, আমিও থাকি।

দলগত পারফরম্যান্স
যোশি: যেকোন দলের দিকে তাকিয়ে দেখবেন যে এই দলটি অনেক ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। আপনি সর্বশেষ দুই বছর দেখুন আমরা দলগতভাবে কী অর্জন করেছি। অবশ্যই সাদা বল এবং টেস্ট ক্রিকেটে। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতেছি এবং সাদা বলে তাদের হারিয়েছি। সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি এবং ভারতের কাছে দুইটি টুর্নামেন্টে শেষ বলে গিয়ে হেরেছি। তাই, আমরা যদি সর্বশেষ দুই বছরে দলের সার্বিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকাই সূচকটা ক্রমেই উঠছে। তাই আমাদের ধারাবাহিকতা জরুরি। সবাই বুঝতে পারছে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করার জন্য কী করতে হবে। তাই তারা সবাই অনেক কাজ করছে। সে কারণেই আমরা সফলতম, ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি মুশফিকের কাছ থেকে, আমরা দেখছি সাকিব-রিয়াদ ও তামিমের কাছ থেকে। দলটি এখন তরুণ-অভিজ্ঞের সমন্বয়ে সফলতা অর্জন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়