ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

কক্সবাজারের পর্যটন : সবকিছু থেকেও যেন নেই

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৭ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কক্সবাজারের পর্যটন : সবকিছু থেকেও যেন নেই

কক্সবাজার প্রতিনিধি: সবকিছু থেকেও কেবল সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের অভাবে যথার্থ হয়ে ওঠেনি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প।

অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্খিত পথে এগুতে পারেনি এখানের পর্যটন। অভাব পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধারও। অভিযোগ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। তবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যটনকে এগিয়ে নিতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, দীর্ঘ মেরিনড্রাইভ, সবুজের সমারোহ, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও বৌদ্ধ বিহার, পর্যটনে আকর্ষনের সবকিছুই আছে পর্যটন অঞ্চল কক্সবাজারে। আর এ কারণেই প্রতিবছর ১৫ লাখের অধিক পর্যটক ছুটে আসেন এখানে। কিন্তু পরিবেশটা অনুকূল নয়, যথার্থ সুবিধাটুকু পাচ্ছেন না তারা। পর্যটকদের জন্য এখানে গড়ে ওঠেনি সুযোগ-সুবিধা।

পর্যটকরা বলছেন, শুধু মাত্র হোটেল ব্যবসাতেই ব্যাতিব্যস্ত কক্সবাজারের পর্যটন উদ্যোক্তারা।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পিত কিছুই নেই। যেভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা তা কক্সবাজারে এখনো গড়ে উঠেনি। শুধু বড় বড় হোটেল থাকলেই পর্যটন এগুবে না।’

ঢাকার সাভার থেকে আসা আশিকুর রহমান তারিক বলেন, ‘১২০ কিলোমিটার সৈকত আছে। কিন্তু তার কত কিলোমিটার পর্যটকরা যেতে পারছে। ১১টি পয়েন্ট আছে তবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।’

ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, সমন্বয়হীনতার কারণে পর্যটন শিল্প পরিকল্পিতভাবে এগুতে পারছেনা।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলায় যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয় তাহলে আমূল পরিবর্তন আসবে পর্যটন শিল্পে। এটাই মূল লক্ষ্য আমাদের। যে সকল এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনের কাজ চলছে আশা করছি অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজ শেষ হবে।’
 


কক্সবাজার হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘হোটেল-মোটেল রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে পরিবেশের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আসছে না বিদেশি পর্যটক। আশা করি আগামীতে একটু ভাল ব্যবসা করতে পারবো। ‘

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ বলেন, ‘কক্সবাজারের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা একনেকে পাঠানো হয়েছে। এ পরিকল্পনা মতে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলে আমুল পরিবর্তন আনা হবে।’

উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে সাড়ে চারশতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। প্রতিদিন রাত্রীযাপন করতে পারে দেড় লাখের অধিক পর্যটক। ভ্রমণের জন্য রয়েছে শতাধিক স্পট।

 

 

রাইজিংবিডি/ কক্সবাজার/৭ জানুয়ারি ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়