ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিয়ে আসছে পতেঙ্গা সৈকত

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১২ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিয়ে আসছে পতেঙ্গা সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : কক্সবাজারের পর দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের পতেঙ্গা। দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর ঘেরা এই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের সব আধুনিক পর্যটন সুবিধা এবং অককাঠামোগত আধুনিক নির্মাণ শৈলীতে গড়ে তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উদ্যোগে পতেঙ্গা সৈকতের আধুনিকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস রাইজিংবিডিকে জানান, দেশে সেরা এবং আধুনিক পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে পতেঙ্গা সৈকতে। নতুন এই পর্যটন কেন্দ্র হবে বিশ্বমানের। আধুনিক বিশ্বের পর্যটন কেন্দ্রের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থাকবে পতেঙ্গা সৈকতে। এখানে পর্যটকদের হাঁটার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। বিচে শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে আলাদাভাবে কিডস জোন। বড়দের জন্য থাকবে বিভিন্ন রাইড।

৩০ ফিট ব্যাসে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে এবং একটি বিশাল প্লাজা নির্মিত হচ্ছে পতেঙ্গা বিচে। প্রায় ৭০০ গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষায়িত পর্যটন প্লাজা। পতেঙ্গা সৈকতে প্রবেশের সড়কটি ৮০ ফুট প্রশস্থ করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই পতেঙ্গা বিচ আধুনিকায়নের একটি জোনের কাজ শেষ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আমরা ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু বিনোদনের জন্য যেসব উপাদান প্রয়োজন, সেসব উপাদান পতেঙ্গা বিচে ছিল না। বর্তমানে সেই শূন্যতা পূরণ হতে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ পতেঙ্গাকে একটি বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই পতেঙ্গাকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষ দেখতে পাবে।’

সিডিএ চেয়ারম্যান জানান, পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়েতে একসাথে ৫০ হাজার মানুষ হাঁটতে পারবে। পরবর্তীকালে জেটি নির্মাণ করা হবে। পতেঙ্গা এলাকাটি দুইটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। জোন ওয়ান ও জোন টু। জোন ওয়ান হচ্ছে পঙ্গেতা বিচ। আর জোন টু হচ্ছে পাঁচ কিলোমিটার শেষে রিং রোড। সেখান থেকে আসা-যাওয়ার জন্য ক্যাবল কারের ব্যবস্থা থাকবে।’

পর্যায়ক্রমে ফাইভস্টার হোটেল, কনভেনশন হল, শপিংমলসহ আরো নানা পর্যটন সুবিধা পতেঙ্গায় গড়ে তোলা হবে বলে সিডিএ চেয়ারম্যান জানান।




রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১২ জানুয়ারি ২০১৮/রেজাউল/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়