ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এপ্রিলে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এপ্রিলে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সবশেষ আসরে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সুবিধা করতে পারেনি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও। সেই তুলনায় নারী ফুটবল দল ছিল বেশ উজ্জ্বল। ঘরের মাঠে কিংবা বিদেশে। গেল বছর অনেকগুলো সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার তাদের নিয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

আগামী এপ্রিল মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ছয় জাতির ‘বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ-২০১৯’। সফলভাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮ আয়োজন করা কে-স্পোর্টসকে দেওয়া হয়েছে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের স্বত্ত্ব। আজ বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাকক্ষে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টস এর সাথে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন, ফিফা কাউন্সিল মেম্বার, এএফসি ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। কে-স্পোর্টস এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাহাদ এমএ করিম, ডিরেক্টর আশফাক আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মুনতাসির ভুঁইয়া ও চীফ অপারেটিং অফিসার মাহবুবুর রশিদসহ অন্যান্যরা।

 



চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ফাহাদ এম এ করিম বলেন, ‘এর আগে আমরা স্বত্ত্ব কিনে সেটা বিক্রি করতাম। কিন্তু গেল বছর আমরা নিজেরাই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করি এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বেশ সাফল্য পাই। সে কারণেই আবারো আমরা অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের স্বত্ত্ব পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। কারণ, প্রথমবারের মতো এমন একটি টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে দেশে। আমাদের মেয়েরা দেশে ও দেশের বাইরে খুবই ভালো খেলছে। সালাহউদ্দিন ভাই তাই চেয়েছেন যে দেশেই তাদের একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম দিতে। এটার সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। বঙ্গমাতার নামে টুর্নামেন্টটা হবে। সেখানে ছয়টি দল খেলবে। মেয়েদের এই টুর্নামেন্টকেও আমরা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মতোই আবহ দিব।’

কাজী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা র‌্যান্ডমলি ইতিমধ্যে দশটি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ইস্ট এশিয়ার দেশ আছে, ওয়েস্ট এশিয়ার দেশ আছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশও আছে। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কয়টি দেশ আসে। কারণ, তাদেরও নিজস্ব ক্যালেন্ডার রয়েছে। আন্তর্জাতিক সূচি রয়েছে। আর আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দেশ আনব। যাতে টুর্নামেন্টটিও ভারসাম্যপূর্ণ হয়। আসলে কাতারে এশিয়া কাপ চলছে। সেখানে এশিয়ার ২৪টি দেশ ব্যস্ত রয়েছে। সে কারণে অনেকেই এখনো কোনো সাড়া দেয়নি। আশা করছি এই টুর্নামেন্ট শেষ হলে ভালো সাড়া পাব। আর আমাদের হাতে সময় রয়েছে। যেহেতু এপ্রিলে হবে এই টুর্নামেন্ট। আশা করব ৫টির কম দল হবে না।’

এই টুর্নামেন্টের স্বত্ত্ব পেতে কে-স্পোর্টস বাফুফেকে ঠিক কত টাকা দিচ্ছে সেটা ফুটবল ফেডারেশন খোলাসা করেনি। তবে টুর্নামেন্টের যাবতীয় খরচ বহন করছে প্রতিষ্ঠানটি। সেক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণটা ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আসা দেশগুলোর থাকা-খাওয়া, আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বাফুফের পক্ষ থেকে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৯/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়