ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাজনগরের প্রজাপতি

সমীর চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২৫ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজনগরের প্রজাপতি

সমীর চক্রবর্তী, রাজনগর (ত্রিপুরা) থেকে ফিরে : ত্রিপুরার প্রজাপতি উদ্যান।এখানে এলে ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানটি নতুন করে মনে হবে আবার। একসঙ্গে অনেক প্রজাপতি দর্শনের আনন্দে যে কারোর মনই নেচে উঠবে আনন্দে।

ত্রিপুরার প্রজাপতি উদ্যানটি যেন এই স্লোগানেরই স্বার্থক বাস্তবায়ন । প্রবেশ পথে ঘাসের আঁকা প্রজাপতি, আশপাশে ডানা মেলে আছে পাথুরে প্রজাপতি। তার পাশ দিয়েই উড়ে যাচ্ছে ব্লু- বার্ড কিংবা কমন রোজ। যা কিছুক্ষণের জন্য দর্শনার্থীকে নিয়ে যাবে এক অন্য জগতে।

 


ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর এলাকায় উদ্যানটি যেন বনাঞ্চলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। উদ্যানটির মাধ্যমে রাজ্যের পর্যটনক্ষেত্রের আরেকটি নতুন পালক সংযোজিত হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

উদ্যান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে প্রায় ৫.৫ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত এই প্রজাপতি উদ্যানের উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্যসচেতক বাসুদেব মজুমদার।ত্রিপুরা জাইকা প্রকল্প ও বায়োডাইভারসিটি বোর্ড এর যৌথ উদ্যোগে মনরেগা প্রকল্পের অর্থে এই প্রজাপতি উদ্যানটি নির্মিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতিদের আকৃষ্ট করার জন্যই উদ্যানে রয়েছে বাহারি ফুল ও পাতাবাহার গাছ।রাজ্যের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই প্রজাপতি উদ্যানটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

২০১৫ সালের আগষ্ট থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ১৩ হাজার প্রজাপতির বিশেষ প্রক্রিয়ায় জন্ম সম্পাদন করে উদ্যানে ছেড়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া প্রতিমাসে ৮০০ থেকে হাজার প্রজাপতি এই উদ্যানে উন্মুক্ত হয়ে থাকে। ভেতরে হলরুমের মতো একটি ঘরে বিভিন্ন চিত্রে সাজানো আছে নানা প্রজাপতির পরিচয়। উদ্যানটির ভেতরটা বেশ সাজানো গোছানো, ঠিক ছবির মতো। যা মুগ্ধতা ছড়ায় পর্যটকদের।

 


উদ্যানে ফরেস্ট গার্ড টিটু রঞ্জন দেবনাথ জানান, উদ্যানের বিভিন্ন গাছ থেকে লাভা সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখানে বাচ্চা ফুটানো হয়। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১৫ দিন সময় লাগে। পরে সেসব প্রজাপতি এই পার্কেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই প্রজাপতি উদ্যানে সবমিলিয়ে ১০৫ রকমের রং-বেরঙের প্রজাপতি রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে লাইন বাটার ফ্লাই, কমন রোজ, কমন মরমন, গ্রেট মরমন,ইনিগেস্ট বাটার ফ্লাই,প্লেইন টাইগার ইত্যাদি।

ব্লু-স্ট্রিপ ক্রো, ব্লু- টাইগার স্ট্রিপ ক্রো, মাইন, ফরেস্ট পেরেট, এ্যাঞ্জেল পেরেটের মতো প্রজাপতিরাও ঘুরে বেড়ায় এখানে। দেখা মেলে, ৩-৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের দুর্লভ ‘অর্কিড টিট’ প্রজাপতিও।তবে এখানকার বেশিরভাগ প্রজাপতি মেন্দাগাছে লাভা ছড়ায়। ফলে উদ্যানের অনেক অংশে মেন্দা গাছ লাগানো আছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ব্রাহ্মণবাড়িয়া/২৫ এপ্রিল ২০১৭/সমীর চক্রবর্তী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়