ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পাখির অভয়ারণ্য শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাখির অভয়ারণ্য শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : শান্ত শীতল জলের কৃত্রিম লেক, সবুজ গাছে ছেয়ে আছে সর্বত্র, পাখির কিচির-মিচির শব্দে মোহবদ্ধ করে রাখে সারাক্ষণ।

এ যেনো এক অন্যরকম ভালোবাসার মোহময় প্রাকৃতির সৌন্দর্যের স্বর্গভূমি। এটি বিদেশের কোনো দৃশ্য নয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা কোদালা বনবিট এলাকায় প্রতিষ্ঠিত শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক।

এখানে আছে খাঁচা বন্দি নানা রকম পাখি। কিন্তু এর বাইরে হাজার হাজার মুক্ত পাখির অভয়ারণ্য এই এভিয়ারি পার্ক। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে প্রতিদিন ভিড় জমেছে হাজার হাজার প্রকৃতি প্রেমি মানুষের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে পার্ক। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন পর্যটকরা পাখির অভয়ারণ্যসহ  বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছে।

 


রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, ২১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে শেখ রাসেল পার্কের অবস্থান। সবুজ বনাঞ্চলে বুক চিরে দুই কিলোমিটারের চরাই উৎরাই এবং আঁকা বাঁকা সর্পিল ইটের রাস্তা চলে গেছে পার্কের অপর প্রান্তে। উপরে টানানো আছে ক্যাবল কারের রোপ লাইন।

প্রাক্তন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এবং বর্তমান রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাঙ্গুনিয়া ফরেস্ট রেঞ্জের কোদালা বিটের বিস্তীর্ণ সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। ২০১৩ সালের নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্কের উদ্বোধন করেন। পার্কের ভেতরে রাস্তার পাশে এবং শাখা সড়কের নিকটে সবুজ গাছ গাছালির অন্তরালে সুবিশাল খাঁচায় রয়েছে দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি। পার্কে প্রবেশদ্বারে অপরূপ শোভা মণ্ডিত কৃত্রিম লেকে ভাসছে দেশি বিদেশি হাঁস ও দৃশ্যমান নানা প্রজাতির পানিজীবী পাখি ও  পানকৌরির জীবন জীবিকার নানা কর্ম চঞ্চলতা। সবুজ বনের ওপর উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে উম্মুক্ত পাখ পাখালি। লেকের মাঝেখানে নির্মিত হয়েছে কৃত্রিম দ্বীপ। রয়েছে সংযোগ সেতুতে দ্বীপে যোগাযোগ ব্যবস্থা। লেকের এক পান্তে স্থাপিত আছে কেবল কার।

 


ঈদের ছুটি কাটাতে কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, আবার কেউ প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে আসে পাখপাখালির জীবন চলার সবুজ প্রকৃতির মাঝে। শেখ রাসেল পার্কের সবুজ প্রকৃতির মাঝে গভীর ভালোবাসায় হারিয়ে যেতে দেখা যায় প্রকৃতি প্রেমিদের।

এভিয়ারি পার্কের পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রধান চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের কাছে শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এটি প্রকৃত অর্থেই পাখিদের অভয়ারণ্য। পাখিদের জীবন জীবিকার জন্য এখানে পাখি খাদ্যের বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। খনন করা হয়েছে কৃত্রিম লেক। গড়া হয়েছে পাখিদের আবাসনের পরিবেশ। যাতে নিজে থেকেই পাখিরা নিজেদের বাসা এবং শৈল্পিক নিদর্শন গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি প্রকৃতির ফল, ফসল এবং লেকের পানিতে নাওয়া খাওয়ার মাঝে পাখিকুলের স্বাভাবিক জীবনধারার অকৃত্রিম নিদর্শন সংরক্ষিত করা হয়েছে এখানে। পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য গড়া এমন পার্ক বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/রেজাউল/রুহুল/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়