ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলনে নিহত ১০

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলনে নিহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর ১৪ স্থানে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে আয়োজিত মেজবানে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। মেজবানে অংশ নিয়ে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।

নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। রিমা কনভেনশন সেন্টার ছাড়াও নগরীর চক বাজারের কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশ করার সময় ভিড়ের চাপে গ্লাসের দরোজা ভেঙে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ভাঙা কাঁচে কেটে গিয়ে তারা আহত হন। আহতদের পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কুলখানী উপলক্ষে সোমবার মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন ও নগরীর ১৩টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে জবাই করা হয়েছে দুই শতাধিক গরু-ছাগল। লক্ষাধিক লোকের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হলেও সকাল থেকে প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করতে থাকেন। মেজবান খেতে লাইন ধরে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রচণ্ড  ভিড়ের চাপে ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।



চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার ইকবার বাহার ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থল এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হতাহতদের খোঁজ খবর নেন। এই সময় পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, মেজবান উপলক্ষে প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে যাতে সকলে মেজবান খেতে পারেন, সেই ব্যাপারে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। রিমা কনভেনশন সেন্টারেও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সবাই লাইন ধরে প্রবেশ করে মেজবানে অংশ নিচ্ছিলেন। কিন্তু কনভেনশন সেন্টারের প্রবেশ গেট ছোট হওয়ায় এবং অনেক মানুষ একসঙ্গে প্রবেশ করতে চেষ্টা করায় ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়েছেন।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনের মতো। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্য কমিউনিটি সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এর মধ্যে এন মোহাম্মদ কনভেনশ সেন্টার, স্বরণিকা কমিউনিটি সেন্টার, কিশলয় কমিউনিটি সেন্টার, কে স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার, কিং অব চিটাগাং কনভেনশন হল, কেভি কনভেনশন, ভিআইপি ব্যাংকুইট, কিংস পার্ক, গোল্ডেন টাচসহ বিভিন্ন কনভেনশন সেন্টারে মেজবান খেতে লাখো মানুষ আসেন। রিমা কনভেনশন সেন্টারে দুর্ঘটনার পর প্রতিটি হলে অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৮ ডিসেম্বর ২০১৭/রেজাউল করিম/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়