ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ট্রাম্প-উনের বৈঠকে নতুন ইতিহাসের সূচনা

মাছুম বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৬, ২০ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ট্রাম্প-উনের বৈঠকে নতুন ইতিহাসের সূচনা

মাছুম বিল্লাহ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের যে কয়টি স্থানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে  কোরীয় উপদ্বীপ। আমরা জানি, ১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত দুই কোরিয়া যুদ্ধ চালিয়ে একটি যুদ্ধবিরতিতে যায়, তবে তাদের শত্রুতা থেমে ছিল না। থেমে থেমে তাদের মধ্যে বিরাজ করছিল যুদ্ধ পরিস্থিতি, একে অপরের প্রপাগান্ডা ছাড়াও সুযোগ পেলেই ক্ষয়ক্ষতি করা, বিভিন্নভাবে ভীতি প্রদর্শন করা ছিল সাধারণ বিষয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়ার পক্ষে ইদানিং গোটা বিশ্বে প্রভাব সৃষ্টিকারী দেশ চীন কাজ করে আসছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা, উত্তর কোরিয়াকে ভীতি প্রদর্শন ও কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ৩২ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে এবং প্রতিবছর নিয়মিত যুদ্ধ মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গত এপ্রিলের  শেষভাগে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে ইন। দুই দফা বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় তারা ৬৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার ও কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় সিঙ্গাপুরের সেন্তোষা দ্বীপের বিলাসবহুল কেপেল্লা হোটেলে ১২ জুন যা ঘটল তার পুরোটাই ইতিহাস। বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি-ধামকি ও বাগযুদ্ধের পর ঐদিন প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন। এটি ছিল দীর্ঘদিনের বৈরি দুই দেশের শীর্ষ দুই নেতার প্রথম সরাসরি  শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব। এরপর ট্রাম্প-কিম একান্ত বৈঠক। দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক। দুই নেতার চুক্তি স্বাক্ষর। এই আলোচনা ও চুক্তি শুধু কোরীয় উপদ্বীপে নয়, বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে শান্তির বারতা। দুই নেতার কথাতেই বোঝা গেল সাত দশকের জমাট বরফ গলতে শুরু করেছে। কাটতে শুরু করেছে পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা। দুই নেতার যৌথ বিবৃতিতেও এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এতে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এ ছাড়া ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানের কথা বলেছেন। উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন-জে-ইন বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন। তিনিসহ অনেকেই প্রত্যাশা আর উত্তেজনার চাপে আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি। তার অর্থ হচ্ছে বিষয়টি তাদের সর্বাধিক গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো জোট, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান ও রাশিয়ার কাছ থেকেও সাধুবাদ জানানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর দুই নেতা প্রায় ৪০ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন। এরপর তারা কিছু সময় হাঁটেন ও কথা বলেন। তারপর উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। ট্রাম্প তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার দারুণ লাগছে। আমি অসাধারণ সাফল্যের প্রত্যাশা করছি। আমাদের মধ্যে যে দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে, সে ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই।’ কিম বলেন, ‘আজকের এই অবস্থায় আসতে আমরা অনেক কিছু করেছি। অতীতের ঘটনাপ্রবাহ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আমরা সেগুলো জয় করে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ব বড় একটা পরিবর্তন দেখবে।’ চুক্তি  স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতাকে বলেন, ‘আমরা আবার দেখা করব। আমরা আরও বহুবার সাক্ষাত করব।’ দুই নেতার প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি পদক্ষেপ বিশ্ব অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অবলোকন করছে এবং গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।

দুই নেতার একে অপরের দিকে এগিয়ে যাওয়া যেন বৈরিতা থেকে বন্ধুত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়া। যেন কোরীয় উপদ্বীপ তথা অত্র এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থেকে শান্তির দিকে আগানো, ধ্বংস থেকে উন্নয়নের দিকে আগানো। হাসিমুখে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিমের দিকে হাত বাড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাত বাড়ালেন কিমও। বার সেকেন্ড ধরে চলে করমর্দন। কিমের বাহুতে ট্রাম্পের মৃদুচাপ জানান দিল আন্তরিকতার, নতুন বন্ধুত্বের, নতুন দিগন্তের। দুজনের মধ্যেই আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা দুই নেতা একত্রে কাটান। অতীতের সব তিক্ততা ভুলে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কিম জং উন ঘোষণা দিয়েছেন এখন থেকে তারা একমঞ্চে চলবেন। এই ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে রচনা করবেন নতুন ভবিষ্যত। অব্যাহত থাকবে সহযোগিতা। ট্রাম্পের বয়স ৭১ বছর আর কিমের তিরিশের কাছাকাছি। একে অপরকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। ট্রাম্প কিমকে একজন নবীন ও মেধাবী ও বুদ্ধিমান নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের এই বৈঠক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, আরও স্মরণ করিয়ে দেয় রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের ১৯৮৬ সালের রিকজাভিকের শীর্ষ সম্মেলনের কথা। ২০০৪  ও ২০০৫ সালেও দেশ দুটির মধ্যে বৈঠক হয়েছিল তবে  শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক ইতিহাসে এই প্রথম। কাজেই এটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের দাবিদার।

চারটি বিষয়কে সামনে রেখে এই যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগনের আকাঙ্খা অনুযায়ী সহযোগিতার ভিত্তিতে। নতুন ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিব্ধ থাকবে। দ্বিতীয়ত, কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও পিপিআরকে যৌথ উদ্যোগ নেবে। ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজম ঘোষণা পুনঃনিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে ডিপিআরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। তৃতীয়ত, উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। চতুর্থত, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সামরিক মহড়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি। এটি খুবই ব্যয়বহুল এবং উস্কানিমূলক। এ থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আশা করতে পারি যে, এই যুদ্ধ শিগগির শেষ হবে। তিনি বলেন, কিম তাকে বলেছেন যে, তারা নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর বড় একটি স্থাপনা এরই মধ্যে ধ্বংস করেছেন। পিয়ংইংয়ের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহাল থাকবে, পরে তা তুলে নেওয়া হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সমারিক মহড়া স্থগিত করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারেরও আশ্বাস দেন তিনি। এই বৈঠক সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংই বলেন, ‘বড় কথা হলো দুই নেতা একসঙ্গে বসেছেন, বৈঠক করেছেন- এর একটি গুরুত্ব আছে, ইতিবাচক দিক আছে। এটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।’ উত্তর কোরিয়ার গুরু  চীন কোন ধরনের উত্তেজনাকর কথা না বলে সবকিছুই শান্তির পক্ষে বলেছেন যা কোরীয় উপদ্বীপসহ গোটা বিশ্বের জন্য আনন্দের সংবাদ।

তবে কোন কোন কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অন্যভাবেও মন্তব্য করেছেন। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, ‘ট্রাম্প গণমাধ্যমের নজরে থাকতে পছন্দ করেন। তিনি গণমাধ্যমে খবর হিসেবে থাকতে চান। প্রতিদিনই টুইট করে তিনি আলোচনার ইস্যু হতে চান। সে ক্ষেত্রে এটি অস্বাভাবিক নয় যে, এখানেও তিনি এ ধরনের সুযোগগুলো ব্যবহার করবেন না। তিনি চমক দিতে পছন্দ করেন। জলবায়ু থেকে শুরু করে নুতন শুল্ক আরোপসহ সব বিষয়েই নেতিবাচক ভাবনা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে। সেগুলো থেকে জনগণের ও বিশ্বাবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে তিনি হঠাৎ এই চমক লাগানোর চেষ্টা করতে পারেন।’ আর কোরীয় উপদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারছে  যে ধীরে ধীরে ওই এলাকা থেকে তার হাত গুটিয়ে নিতে হবে। কারণ তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। পাশাপাশি সেখানে চীনের বড় প্রভাব ও অর্থনৈতিক বড় ভূমিকা রয়েছে।’ গুলো খুবই যুক্তির কথা, তাৎপর্যপূর্ণ কথা। ট্রাম্প নিজেও বলেছেন যে, সামরিক মহড়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল আর তার অধিকাংশটাই ব্যয় করতে হয় আমেরিকাকে। সাবেক যুক্তরাষ্ট্র এম হুমায়ন কবির বলেন, ‘সেখানকার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। বাস্তবে রুপ দেওয়ার কাজটি যদিও কঠিন ও দুরুহ।’ আমরাও তার সাথে সুর মিলিয়ে বলতে পারি যে, কাজটি অত্যন্ত কঠিন তবে অসম্ভব নয়। আর দুই নেতা যেহেতু তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন তাই বিষয়টি শান্তির দিকে আগাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন বন্ধ না করলে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অন্য কোন দেশ সম্পর্কে এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি কোন কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আর উত্তর কোরিয়া এই ভাষণের জবাব দিয়েছে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। উত্তর কোরিয়া মাত্র চার দশকে এই সক্ষমতা অর্জন করেছে। সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও পারমাণবিক শক্তি অর্জনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু করতে পারেনি। উত্তর কোরিয়ার এই সক্ষমতা অর্জনের পেছনে চীনের প্রত্যক্ষ মদদের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র করে আসছে বিভিন্ন সময়ে। এগুলোকে ছাপিয়ে যখন দুই দেশ, দুই নেতা শান্তির পথে এগিয়ে এসেছেন সেটি স্বার্থকতার মুখ দেখবে বলে অনেকেরই ধারণা। পজিটিভ ধারণার আরও একটি কারণ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ। কিমের এই সিদ্ধান্ত সবাইকে হতবাক করে দিয়েছিল গতবার কিন্তু তিনি হয়তো অনেক আগে থেকেই শান্তি স্থাপনের হিসাব কষে আসছিলেন। বাইরে থেকে যদিও তা বুঝা যায়নি। কারণ জনগণের, দেশের, কোরীয় উপদ্বীপের এবং বিশ্ববাসীর জন্য যুদ্ধ কোন সমাধান নয়, যুদ্ধ জনগণের কল্যাণ নিয়ে আসে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাকযুদ্ধের মধ্যেই ট্রাম্প হঠাৎ করে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তাব দিলে কিম অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে বিনাশর্তে তাতে রাজী হয়ে যান। তিনি এই সুযোগটিই হয়তো খুঁজছিলেন।  যুক্তরাষ্ট্রকে  অনেকেই দুই কোরিয়ার এক হওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধা বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন যে, কোরীয় যুদ্ধের পর সই হওয়া ত্রিপক্ষীয় চুক্তির বিশেষ বিধান ভঙ্গ করে ১৯৫৮ সালে থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় কৌশলগত পারমাণকি অস্ত্র মোতায়েন আছে। তাই ট্রাম্পের  সেনা প্রত্যাহার ও যৌথ মহড়া বন্ধের ঘোষণাকে গোটা বিশ্ব স্বাগত জানায় এজন্য যদিও আরও কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেও আশাহত হতে চায়না কোরীয় উপদ্বীপের জনগণ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুন ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়