ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় নিষিদ্ধের দাবি

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় নিষিদ্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফাস্টফুড, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংক্সসহ সকল প্রকার অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্র ও ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এসব খাদ্যপণ্য নিষিদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’ নামের একটি সংগঠন।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর  আবাহানী খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় সংগঠনটির উদ্যোগে ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ফাস্টফুড, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংক্স নিষিদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি’ শীর্ষক একটি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য আমদানি, বিক্রয়, বিপণন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন ধাপে খাদ্যদ্রব্যে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। ফলে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও নিরাপদ খাদ্য এখনো মানুষের নাগালের বাইরে। অপরদিকে ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক্স, মোড়কজাত কৃত্রিম জুস ও চিপসসহ সকল প্রকার অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্র ও ক্যানসারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ৯৭ শতাংশ কমপক্ষে একটি করে সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের জনগোষ্ঠীর বয়োজ্যেষ্ঠদের শতকরা ১৮ ভাগ উচ্চ রক্তচাপ ও ৪ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। খাদ্য নিরাপত্তা ও মান রক্ষার সঙ্গে সরকারের আটটি মন্ত্রণালয় এবং ২৫টি আইন রয়েছে। এসব আইনের মাধ্যমে খাদ্যের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মান রক্ষা, বাজারজাতকরণ নিশ্চিত ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সব মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরগুলোর সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

তারা আরো বলেন, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক্স, মোড়কজাত কৃত্রিম জুস ও চিপসসহ সকল প্রকার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে পুষ্টিগুণ ও খাদ্যমান না থাকার পরও কোম্পানিগুলো তাদের বিভ্রান্তকর প্রচারণা চালিয়ে জনসাধারণকে এ সকল ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে উদ্বুদ্ধ করছে। ফলে প্রতি বছর নানা জটিল ধরনের অসংক্রামক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করছে। জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী এ সকল রোগে আক্রান্তদের অনেকেই ভোগ করছে অবর্ণনীয় কষ্ট। এ সকল ব্যায়বহুল রোগের চিকিৎসায় শুধু ব্যক্তি পর্যায় থেকে নয় রাষ্ট্রকেও ব্যয় করতে হচ্ছে প্রচুর অর্থ ও সময়। এ ধরনের অবস্থা থেকে উত্তোরণে রাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা প্রয়োজন এবং সেই সাথে অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ অক্টোবর ২০১৮/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়