নববধূর সাজে বরিশাল
|| রাইজিংবিডি.কম
বরিশাল থেকে: সড়কের দু’পাশে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড, খানিক দূরে দূরে বর্ণিল তোরণ আর লাল-নীল বাতির আলোকসজ্জা। এ যেন নববধূর হাতে মেহেদী, পায়ে আলতা আর শরীরের গহনার ঝিলিক।
তবে কোন নববধূ নয়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সজ্জিত হয়েছে প্রাচ্যের চন্দ্রদ্বীপ, আর একালের বরিশাল।
কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী বরিশাল শহরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগমনকে কেন্দ্র করে এখন সর্বত্রই সাজ সাজ রব। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মাতোয়ারা বরিশাল বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ।
রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশান থেকে রওনা হওয়ার পর থেকে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মী-ভক্ত-সমর্থকরা গোলাপের কলি এবং গাঁদা ফুল ছিটিয়ে অভিবাদন জানান খালেদা জিয়াকে।
সোমবার দুপুর ২টায় বরিশালের বেল পার্কে ১৮ দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া।
রাত ১১টার দিকে বরিশালের উজিরপুরে সুসজ্জিত সহস্রাধিক মোটরবাইক নিয়ে নেতা-কর্মীরা বরণ করে নেন তাদের প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে আসা শতাধিক গাড়ির বহরকে। উজিরপুর থেকে গাড়ির বহর সরাসরি পৌঁছায় বরিশাল সার্কিট হাউজে। রাতে সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান করছেন হাজারো নেতা-কর্মী।
রাস্তার দু’পাশের আলোক সজ্জায় বাংলার ভেনিস খ্যাত বরিশাল শহর পেয়েছে ভিন্ন এক চেহারা। প্রয়াত জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিশালাকৃতির ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড উৎসাহ বাড়িয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝে।
বরিশাল সার্কিট হাউজের পাশেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে প্রয়াত জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভাষণ এবং বিএনপি শাসনামলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
আলোকসজ্জার মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত শহরের বিভিন্ন মোড়।সোমবার খালেদার জনসভার মহোৎসকে কেন্দ্র করেই জাতীয়তাবাদী দল ও দক্ষিণের মানুষের এই আয়োজন।
খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১০ সালের ১২ মে বরিশাল সফর করেন। এরপর দেশজুড়ে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি পালনকালে সব বিভাগীয় নগরী এবং বড় বড় জেলা শহরে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু বিভাগীয় নগরী বরিশালে এ ধরণের কোনো কর্মসূচি এটাই প্রথম।
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন