ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘ফ্রিজের জগতে নাম্বার ওয়ান ওয়ালটন’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ২৫ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ফ্রিজের জগতে নাম্বার ওয়ান ওয়ালটন’

স্ত্রী, দুই ছেলে ও শ্যালককে নিয়ে ওয়ালটন শোরুমে মো. খোরশেদ মিয়া (বাঁয়ে)

জাকির হুসাইন : ‘সাত বছর ধরে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তা ছাড়া আমার শ্যালিকাকে ৫ বছর আগে একই কোম্পানির একটি ফ্রিজ আমি নিজে কিনে দিয়েছিলাম। সেটিও ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। তাই শ্যালকের জন্য ফ্রিজ কিনতে গিয়ে দ্বিতীয় চিন্তা করতে হয়নি। কারণ ফ্রিজের জগতে নাম্বার ওয়ান হলো ওয়ালটন।’

কথাগুলো মো. খোরশেদ মিয়ার। বাড়ি গাজিপুরের পূবাইলে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। শ্যালকের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গত রোববার লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন খোরশেদ। ক্যাশ ভাউচার প্রাপ্তি নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয় রাইজিংবিডির। তখনই কথাগুলো বলেন খোরশেদ।

খোরশেদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। ৬ ভাই এবং ৩ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাই-বোন সবারই আলাদা সংসার। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে খোরশেদের ছোট পরিবার। একটি ওয়ালটন ফ্রিজ ছাড়া বাড়িতে বলতে গেলে তেমন কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য ছিল না। লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কেনা পণ্যে তার বাড়ি এখন ভরপুর। এজন্য মহাখুশি খোরশেদ।

খোরশেদ বলেন, ‘বড় ভাই-বোনদের কাছে ছোটদের কিছু দাবি থাকে। সে দাবি থেকে আমার স্ত্রীর কাছে তার ছোট ভাই একটি ফ্রিজ চেয়েছিল। স্ত্রী আমাকে এ দাবির কথা জানায়। আমারও ইচ্ছা ছিল শ্যালকের সে আবদার পূরণ করার। কিন্তু টাকার কারণে দেরি হচ্ছিল। আমার গড়িমসি দেখে স্ত্রী অন্য উপায় খুঁজতে থাকে। কিছুদিন আগে গ্রামের একটি বেসরকারি সমিতিতে সে যোগ দেয়। সেখান থেকে কিছু টাকা তুলে আমার হাতে দিয়ে বলে তার ভাইকে ফ্রিজ কিনে দিতে।

খোরশেদ জানান, স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত রোববার পুবাইলের মিরের বাজারের এবি ইলেক্ট্রনিক্স শোরুমে যান তিনি। শোরুমে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে সাড়ে ১১ সিএফটি সাইজের একটি ফ্রিজ পছন্দ হয় তার। ২১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কেনেন তিনি। ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে পেয়ে যান লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের এই অফারে কথা জানা ছিল না। ফ্রিজ পছন্দ করার সময় বিক্রয়কর্মীরা আমাকে জানান যে, তাদের পণ্য ক্রয়ে ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হচ্ছে। ভাগ্য ভালো থাকলে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। মনে মনে ভাবলাম পাই বা না পাই, এ সুযোগে নিজের ভাগ্যকে যাচাই করে নেওয়া যাবে। ফ্রিজটি কেনার পর মেমো করতে করতেই আমার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল আমি ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি।’
 

ব্যান্ড বাজিয়ে মো. খোরশেদ মিয়া এবং তার পরিবারের হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হয়


তবে এ পুরস্কার তিনি তার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছেন। কারণ হিসেবে খোরশেদ বলেন, ‘এখানে আমার কোনো অবদান নেই। স্ত্রীর সমিতির টাকায় তার ভাইয়ের জন্য ফ্রিজ কিনে এমন পুরস্কার পেয়েছি। এটা স্ত্রীর ভাগ্যে হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের জীবনে এই প্রথম পণ্য কেনার পর পুরস্কার পাওয়ার বিরল ঘটনা ঘটল।’

১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী পণ্য কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১ লাখ টাকার এ ভাউচার দিয়ে বড় সাইজের একটি ফ্রিজ, এলইডি টিভি, মোবাইল ফোন, টেবিল ফ্যান, চার্জার ফ্যান, রাইচ কুকারসহ অতি প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য কিনেছি। এসবের মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যই আমার পরিবারে ব্যবহার হবে।’

ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। আগেই বলেছি ফ্রিজের জগতে নাম্বার ওয়ান হলো ওয়ালটন। এই তো বেশি দূরে নয়, চন্দ্রাতেই ওয়ালটনের কারখানা। তা ছাড়া আমাদের পরিবারে অনেক আগে থেকে ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করি। খুব টেকসই মনে হয়েছে। দাম ও মানের দিক দিয়েও সবার ওপরে। আমি ওয়ালটনের সাফল্য কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।

ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ নভেম্বর ২০১৭/অগাস্টিন সুজন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়