ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘বিবাহবার্ষিকীতে ওয়ালটন থেকে বড় পুরস্কার পেলাম’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বিবাহবার্ষিকীতে ওয়ালটন থেকে বড় পুরস্কার পেলাম’

মো. আমিনুর ইসলামের হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার এবং সেই টাকায় কেনা অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

জাকির হুসাইন : ‘আমাদের বিয়ে হয়েছে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। সেই থেকে প্রতিবছর বিবাহবার্ষিকীতে বউকে কিছু না কিছু উপহার দেই। অষ্টম বার্ষিকীতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবারের বিবাহবার্ষিকী উৎযাপন আমাদের জীবনে ইতিহাস হয়ে গেল। কারণ এ বছর উপহার দেওয়ার জন্য একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। ভাগ্যের জোরে তাতেই পেয়েছি ১ লাখ টাকা পুরস্কার। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল ওয়ালটনের কারণে। এজন্য ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’

কথাগুলো মো. আমিনুর ইসলাম। গত ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর স্টার করপোরেশন থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পান তিনি। সেই টাকায় স্ত্রীর পছন্দে নানান ওয়ালটন পণ্য কিনেছেন আমিনুর। তার ঘরভর্তি এখন ওয়ালটন পণ্য।

মো. আমিনুর ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। ৫/৬ বছর ধরে বাবা-মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় থাকেন। সেখানেই একটি লন্ড্রির দোকান আছে আমিনুরের।

তিনি বলেন, ‘স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও বাবা-মাকে নিয়ে সুখী পরিবার আমার। পরিবারে প্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসই আছে। তা ছাড়া আমার স্ত্রীর কোনো চাহিদা নেই। আমাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের। তাই প্রতিবছর ঘটা করে আমাদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।’
 

আনন্দ মিছিলে সবার মধ্যমনি ওয়ালটনের ভাগ্যবান ক্রেতা মো. আমিনুর ইসলাম


আমিনুর বলেন, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি ছিল আমাদের অষ্টম বিবাহবার্ষিকী। প্রতিবারই এদিনটি উপলক্ষে বউকে কোনো না কোনো উপহার দিয়ে থাকি। এবারো তাকে কিছু দেওয়ার ইচ্ছা করি। তবে এবার বড় কিছু দেওয়ার চিন্তা করি। কিন্তু কি দেব তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখনই মাথায় আসে এবার বউকে বড় একটি ফ্রিজ কিনে দেব। কারণ বাসায় ফ্রিজ ছিল। তবে সেটি ছোটবোনের আবদারের কারণে তাকে দিয়ে দিয়েছি। তা ছাড়া, বর্তমান যুগে ফ্রিজ ছাড়া একটা দিনও চলা সম্ভব না। এ কারণে মনে মনে পরিকল্পনা করি এবার ফ্রিজই কিনে দেব। এতে একসঙ্গে বউকে উপহার দেওয়া হবে, আবার পরিবারের প্রয়োজনও মিটবে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন ফ্রিজ কিনব এটা আগে থেকে ঠিক করা ছিল। কারণ এর আগের ফ্রিজটিও একই কোম্পানির ছিল। চার বছর আমি নিজে ব্যবহার করেছি। সার্ভিস খুবই ভালো। ফল-মূল, শাক-সবজি একেবারে টাটকা খাকে। স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। তা ছাড়া আমার বড় ভাই ঢাকার একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনিও আমাকে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন।’

আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীতে ওয়ালটনের শোরুম স্টার করপোরেশনে যাই। সেখান থেকে দেখে-শুনে পছন্দ হয় সাড়ে ১৬ সিএফটি মডেলের ফ্রিজটি। ২৭ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কিনি। এর আগে শোরুমের ভেতরে-বাইরে ঝুলানো ব্যানারে ওয়ালটনের কোটি কোটি টাকার অফার দেখতে পাই আমরা। শোরুমের কর্মকর্তারাও আমাদের এমন কথা জানান। তাই ফ্রিজ কেনার পর আমার মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেন শোরুমের কর্মকর্তা জামিনুর ইসলাম।’  

আমিনুর জানান, এর কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। মেসেজ পড়ে দেখেন তাতে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার লেখা। যা দেখে তার পরিবারের সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।

মো. আমিনুর ইসলামের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে পিকআপে করে ব্যান্ড পার্টিসহযোগে যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল করা হয়


তিনি বলেন, ‘ভাগ্যের জোরে জীবনে এই প্রথম বড় ধরনের কোনো পুরস্কার পেলাম। সাথে সাথে এ খবর আমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই দিনই বাসার রান্না বন্ধ করে সবাই থ্রি-স্টার হোটেলে খেতে চায়। আমিও তাদের খাওয়াতে নিয়ে যাই। এতে অনেক টাকা খরচ হলেও অন্য রকম শান্তি পেয়েছি। জীবনে এমন একটি দিন আসবে তা কখনো কল্পনা পর্যন্ত করিনি। তাই এবারের বিবাহবার্ষিকী আমাদের দাম্পত্য জীবনে ইতিহাস হয়ে রইল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মহাখুশি। বিশেষ করে যার জন্য ফ্রিজটি কেনা, আমার স্ত্রীর খুশির শেষ নেই। কারণ উপহারের ১ লাখ টাকা দিয়ে সে তার মনমতো আরো অনেক পণ্য নিয়েছে। যার মধ্যে আছে একটা ফ্রিজ, দুইটা এলইডি টিভি, একটা মোবাইল ফোন, ব্লেন্ডারসহ মোট ১০টি আইটেমের পণ্য। ওয়ালটনের কারণেই আমাদের পরিবারে এখন সুখের বন্যা বইছে। আমি ওয়ালটনের জন্য দোয়া করছি।’

এদিকে, গত রোববার যাত্রাবাড়ীর কাজলা ওয়ালটন প্লাজায় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে মো. আমিনুর ইসলামের হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার এবং সেই টাকায় কেনা অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হয়। পরে তাকে ফুলের মালা পরিয়ে পিকআপে করে ব্যান্ড পার্টিসহযোগে যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজলা ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, টিকাটুলি প্লাজার ম্যানেজার এ এইচ এম রায়হান, সায়েদাবাদ প্লাজার ম্যানেজার নারায়ণ ভট্টাচার্য, পল্টন প্লাজার ম্যানেজার আবুল বাশার এবং স্টার করপোরেশনের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জামিনুর ইসলাম।

ওয়ালটনের ডিলার শোরুম স্টার করপোরেশনের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জামিনুর ইসলাম বলেন, ‘সম্মানিত ক্রেতা মো. আমিনুর ইসলাম লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় আমাদেরও খুবই ভালো লাগছে। তার এই প্রাপ্তিতে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ব্যাপক প্রচার পেয়েছি। বর্তমানে আমাদের শোরুমে বিক্রি আগের থেকে অনেক বেড়েছে।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ