ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলাম’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলাম’

মির্জা শামীমের হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বাসায় টিভি-ফ্রিজ কিছুই ছিল না। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টেসে কাজ করি। বহু কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে একটা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কী ভাগ্য আমাদের! সেই ফ্রিজ কিনেই পেয়েছি ১ লাখ টাকা। যা দিয়ে স্মার্ট টিভিসহ স্ত্রীর পছন্দে নানা জিনিস কিনেছি। আমাদের ঘরভর্তি এখন ইলেকট্রনিক্স পণ্য। ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলাম।’

কথাগুলো মির্জা শামীমের। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় তিনি পেয়েছেন ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।

মির্জা শামীম জানান, তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জে থাকেন। কাজ করেন একটি সোয়েটার কারখানায়। বিয়ে করেছেন অনেক দিন আগে। দুটি সন্তান আছে তাদের। বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘অভাব-অনটনের সংসার। তাই কাজের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে আট বছর আগে নারায়ণগঞ্জে আসি। এখানেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকি। স্বামী-স্ত্রী দুই জনই গার্মেন্টসে কাজ করি। আয়-রোজগার যা হয়, তাতে মোটামুটিভাবে সংসার চলে যায়।’

মির্জা শামীম বলেন, ‘টিভি-ফ্রিজের মতো দামি পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন ও ইচ্ছা দুটাই ছিল। কেবল সাধ্য ছিল না। দুজনেই কাজ করি বলে সব সময় রান্না-বান্না করা নিয়ে বেশ ঝামেলা হতো। এর সমাধান ছিল একটি ফ্রিজ। কিন্তু একসাথে অনেকগুলো টাকা লাগবে, তাই এতদিন কিনতে পারিনি। তবে ফ্রিজটি অতি প্রয়োজনীয় হওয়ায় প্রতিমাসে কিছু কিছু করে টাকা জমাতে থাকি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওয়ালটন কোম্পানির ফ্রিজ কিনব তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। কারণ, ওয়ালটন আমাদের দেশীয় কোম্পানি। সব জায়গাতেই ওয়ালটনের জয়গান। এমনকি বর্তমানে ফ্রিজ বলতেই ওয়ালটনকে বুঝায়। তাছাড়া আমরা নিজেরাই পণ্য উৎপাদনের কাজের সাথে জড়িত। পণ্যের মান বুঝতে আমাদের একটুও সমস্যা হয় না। তাই ফ্রিজ কেনার জন্য বাংলাদেশের কোম্পানিকে বেছে নিলাম।’

মির্জা শামীম জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে ওয়ালটনের ডিলার শোরুম মা ইলেকট্রনিক্সে যান। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে সাড়ে ১৩ সিএফটি আয়তনের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি।

মির্জা শামীম বলেন, ‘ওয়ালটন পণ্য কিনলে উপহার পাওয়া যাবে এমন অফারের কথা আগে থেকে জানতাম। উপহার পাওয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিল ঠিকই। আবার সংশয়ও ছিল। কারণ, জীবনে কোনো ছোট-খাটো পুরস্কারও পাই নাই। তারপরেও নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফ্রিজটি কিনি।’

তিনি বলেন, ‘এরপর ফ্রিজ নিয়ে বাসায় চলে যাই। বাসায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আমার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। কিন্তু সেটা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া পুরস্কার কি না তা বুঝতে পারছিলাম না। তখন বিষয়টি জানতে শোরুমের কর্মকর্তাদের ফোন দিলে তারা বলেন, আসলেই আমি ভাগ্যবান। ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি।’

মির্জা শামীম বলেন, ‘দেখেন আমার কী ভাগ্য! উপহার পাওয়ার আশা ছিল ঠিকই, তাই বলে ১ লাখ টাকা পাব তা ভাবতেও পারি নাই! যেখানে দুজনের রোজগারের টাকায় আমাদের সংসার কোনোমতে চলত। অতি প্রয়োজনীয় একটি ফ্রিজ পর্যন্ত কিনতে পারছিলাম না। সেখানে এখন স্মার্ট এলইডি টিভি ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছি। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর ঘরের কাজ সহজ করতে ইলেকট্রনিক্সের যাবতীয় পণ্য হাতে পেয়েছি। এর চেয়ে খুশির খবর আর হতেই পারে না। আমি আনন্দিত ও অভিভূত। আমার সব আত্মীয়-স্বজন খুশি। বেশি খুশি আমার স্ত্রী।’

ক্যাশ ভাউচারের এ টাকা দিয়ে কী কিনেছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাখ টাকার এ পুরস্কার দিয়ে আরো একটি ফ্রিজ, একটি স্মার্ট এলইডি টিভি, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ফ্যান, টর্চ লাইটসহ ঘরের আরো অনেক জিনিস কিনেছি। এর সবই সম্ভব হয়েছে ওয়ালটন কোম্পানির জন্য। ধন্যবাদ ওয়ালটনকে।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়