ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আক্রমণাত্মক রুবেল নাকি নিয়ন্ত্রিত সাইফউদ্দিন!

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ৩১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আক্রমণাত্মক রুবেল নাকি নিয়ন্ত্রিত সাইফউদ্দিন!

লন্ডন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিরাট কোহলির উইকেট উপড়ে ফেলার দৃশ্যটা বাঁধাই করে রাখতে চান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। হোক না প্রস্তুতি ম্যাচ। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের উইকেট নেওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়।

কার্ডিফে কোহলি যেভাবে সাইফউদ্দিনের ইয়র্কার মিস করে বোল্ড হয়েছেন তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট, বিশ্বকাপের মঞ্চে সুযোগ পেলে ডানহাতি পেসার যেভাবেই হোক নিজের বোলিং কারিশমা দেখাবেন। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সাথে ব্যাটিং করার ক্ষমতা তাকে এগিয়ে রাখছে স্কোয়াডে থাকা অন্য পেসারদের থেকে। মূলত তৃতীয় পেসার হিসেবে তার দলে ঢোকার সম্ভাবনা বেশি।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন রুবেল হোসেন। দুটি জায়গায় রুবেল আবার সাইফউদ্দিনের থেকে অনেক এগিয়ে। প্রথমত, রুবেলের অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়ত, রুবেলের আগ্রাসন। দলে ওয়ানডে ক্রিকেটে বৈচিত্র্য নিয়ে আগ্রাসন দেখানো একমাত্র পেসার রুবেল। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও হেসেছেন রুবেল।  আক্রমণাত্মক বোলিং করে পেয়েছেন ২ উইকেট। এ ছাড়া ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন।  সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে তার কম সুযোগ নেই।

তবে দুজনের মধ্যে চলছে মধুর প্রতিযোগিতা।  বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের পছন্দ দুজনকে।  তবে ধারাবাহিক ম্যাচ খেলা সাইফউদ্দিনকে দলে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।  যদিও সিদ্ধান্ত তার নন বলে জানিয়েছেন তিনি।  অবশ্য সাইফউদ্দিনের চোট ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।  শুক্রবার ওভালে সাইফউদ্দিন অনুশীলন করেননি।  শনিবার তাকে দেখবে করবে দল।  যদি তার শারীরিক ফিটনেস আপ টু মার্ক না থাকে তাকে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলে নাও দেখা যেতে পারে।  সেক্ষেত্রে রুবেল হোসেনই ভরসা। 



অটোমেটিক চয়েজ হিসেবে মাশরাফি ও মুস্তাফিজ থাকবেন দলে।  তৃতীয় পেসার কে হবেন, তা নিয়ে যত জল্পনা-কল্পনা। ওয়ালশের আস্থা অবশ্য দুজনকে ঘিরেই, ‘দুজনের থেকে একজনকে বেছে নেওয়া কঠিন। আপনাকে তাকেই দলে নিতে হবে যে কিনা ম্যাচ খেলার জন্য ফিট। যদি সাইফউদ্দিন আগামীকাল ফিট না হয় তাহলে আমাদের অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। যদি ফিট হয়ে যায় তাহলে দুজনের মধ্যে দলে কাকে নেবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচকরা। তবে এ ধরনের বোলিং গভীরতা ও অপশন থাকা অবশ্যই দলের জন্য অনেক ভালো। এই মুহূর্তে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের হাতে একাধিক সুযোগ আছে। শেষ মুহূর্তে যদি কোনো সমস্যার তৈরি হয় তাহলে অন্য কাউকে নিতেই পারব। দলের ভেতরে এ ধরনের প্রতিযোগিতা অবশ্যই ভালো।’

নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবেন না ওয়ালশ। তবে তার ব্যক্তিগত পছন্দ সাইফউদ্দিন। স্পষ্ট করে না বললেও ওয়ালশের ইঙ্গিত সেকরমই, ‘রুবেল বিশ্বকাপের ঠিক আগে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। তবে তাকে দলে পাওয়া দারুণ। যদি আপনি তিনজন পেসার মাঠে নামান তাহলে নিয়মিত খেলে আসছে এমন কাউকে নামানো ভালো। তবে ভাবনা হচ্ছে সাইফউদ্দিনের চোট নিয়ে। তার চোট আবার বেড়েছে। ফলে সুযোগ আবার খুলে গেছে। এজন্য দুজনের থেকে একজনকে বেছে নেওয়া কঠিন।’

২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলা রুবেল হোসেনকে টপকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা সাইফউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে নামেন কি না, সেটাই দেখার। যে-ই দলে আসুক না কেন, দলকে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে উড়ন্ত সূচনা দিতে বড় অবদান রাখতেই হবে।



রাইজিংবিডি/লন্ডন/৩১ মে ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়