হ্যাটট্রিকের হাতছানি, মাশরাফি বলছেন ‘কঠিন’
কার্ডিফ থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: ২০১১ কিংবা ২০১৫ দুই বিশ্বকাপে নদীর পাড়ের দুই শহরে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধ কাব্যের কথা তো মোটামুটি সবারই জানা।
এবার আরেকটি নদীর পাড়ে ইংল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। শেষ দুই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে দুবারই হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার হ্যাটট্রিকের হাতছানি বাংলাদেশের। তবে মাশরাফি বলছেন কাজটি বেশ কঠিন। এজন্য নিজেদের সেরা ক্রিকেটের থেকেও বেশিকিছু দিতে হবে টিম বাংলাদেশকে। সেটার জন্যও প্রস্তুত আছে দল।
‘কাজটা কঠিন। পুরোনো স্মৃতি আমাদেরকে সাহায্য করবে কিনা তা আসলে বলা যাচ্ছে না। আমরা যদি ম্যাচগুলো হেরেও যেতাম তাহলেও আমাদেরকে সাহায্য করতো না। এটা নতুন ম্যাচ। দুই দল প্রথম বল থেকে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, দুই দলেরই লক্ষ্য শুরুটা ভালো করা। আগের দুবারে ওদেরকে হারিয়েছি বলে এবারও হারাবো এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে সুযোগ আছে। সেজন্য আমাদের সেরাটা খেলতে হবে।’
২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারেননি ঠিকই। কিন্তু চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ঠিকই। সাগরিকা স্টেডিয়ামে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছিল সাকিবের দল। ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেড স্টেডিয়ামে আরেকটি মহাকাব্যের রচনা করেছিল মাশরাফির দল। অ্যাডিলেড স্টেডিয়ামের পাশেই রয়েছে টরেন্স নদী। নদীর পাড়ে থাকা স্টেডিয়ামে সেই রাতে বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিল বাংলাদেশ।
এবার বাংলাদেশের ম্যাচ কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে। এমনিতেই কার্ডিফের স্টেডিয়াম বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টাফ নদীর পাড়ের স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা। ওই ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল দল। এবার সেখানেই আরেকটি জয় তুলে নিতে মুখিয়ে মাশরাফি। kch ইংল্যান্ডকে সমীহ করছে দল।
‘ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের অন্যতম সেরা দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমি এখনও মনে করি তারা সঠিক পথে আছে এবং ব্যাট-বলে ভালো সংস্পর্শে আছে। ইংল্যান্ড মোটেও চাপে থাকবে না। আমার বিশ্বাস আমাদের যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে হয় তাহলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। তারা যেসব জায়গায় শক্তিশালী, সেসব জায়গায় যদি আমরা আক্রমণাত্মক হতে পারি তাহলে যে কোনো কিছু হতে পারে। ’ – বলেছেন মাশরাফি।
রাইজিংবিডি/কার্ডিফ/৮ জুন ২০১৯/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন