ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ওরা ছয় মারলে তো রান ১২ হবে না’

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ১৬ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওরা ছয় মারলে তো রান ১২ হবে না’

টনটন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক : ‘লাইসেন্স টু কিল’ – ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অনুশীলন ছিল এমনটাই।

ক্রিস গেইল সেন্ট্রাল উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেননি। নয়তো ডজন খানেক বল আজই হারাতেন! হোল্ডার খোলা নেটে ব্যাটিং করেছেন। গ্যালারিতে ফ্রি হিটের প্র্যাকটিস করেছেন। তার পাশেই ছিলেন এভিন লুইস। আরেক পাশে শিমরন হেটমায়ার। থ্রু দ্য লাইনে শুধু ব্যাট উঠাচ্ছেন তারা। ব্যাটের মাঝে বল লাগলেই যাচ্ছে গ্যালারিতে।

বারবার ওদের কোচিং স্টাফরা বলছিলেন, ‘ওয়াচ...ওয়াচ...ওয়াচ।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং সেশন দেখে বোঝা গেছে এ মাঠে তারা শুধু ছক্কা মারতেই এসেছে। 

মাত্র ৮ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন টনটনের মাঠের তিনপাশটাই খোলা।  স্কয়ারের একপাশে শুধু পাঁচতলার বড় স্থাপনা। এমনিতেই মাঠ ছোট। তার ওপরে ক্রিস গেইল, কার্লোস ব্রাফেট, আন্দ্রে রাসেলরা প্রতিপক্ষ। ছোট মাঠ বলেই কি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এত ভয়!

না, কোনো ভয় নেই। গত কয়েকদিন ধরে অনানুষ্ঠানিকভাবে টনটন মাঠ নিয়ে এভাবেই সব প্রশ্ন সামলেছেন মাশরাফি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসল একই প্রশ্ন।

ছোট মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা কি আতঙ্কের কারণ? আজও মাশরাফি বুঝিয়েছেন, দুই দলের ব্যাটসম্যানরা পাবেন সমান সুযোগ। বরং বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অনেক জায়গায় এগিয়ে থাকবেন। তবে বোলারদের জন্য মাশরাফি কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন। 

‘মাঠ ছোট-বড়র সুবিধা কী...ওয়েস্ট ইন্ডিজ যত বড় মাঠেই খেলুক না কেন ওদের মিস হিটও অনেক সময় ছয় হয়ে যায়। ওরা এখানেও যদি ছয় মারে সেটা তো আর ১২ হবে না। ওটা ৬-ই কাউন্ট হবে। আমরা আমাদের ক্ষেত্রে বরং ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে পারি, আমাদের ব্যাটসম্যানদের কিছুটা সুবিধা বাড়বে। আমাদের ওই ছয়ের সুযোগগুলো থাকবে। আমি ইতিবাচক ‍দৃষ্টিতে দেখছি। ’

‘হয়তো বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলতে গেলে বোলারদের চ্যালেঞ্জ বেশি থাকবে সব সময়। আমাদের বোলারদের কোনো না কোনো উপায় বের করতে হবে সফল হওয়ার জন্য। আউট করার তো অনেক উপায় আছে। ক্যাচ-ই তো সব না। বোল্ড আছে, স্লিপ আছে, এলবিডব্লিউ আছে। ব্যাটসম্যানরা যখন শটস খেলবে তখন দুই দলেরই সুবিধা নেওয়ার সুযোগ থাকবে’ – বলেছেন মাশরাফি।

টনটন মাঠে প্রথম দিন ঢুকেই দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্টের থেকে মাঠের আকার-আকৃতি জানতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। চাহিদামতো তথ্য সরবরাহও করেছেন শ্রী। তাতে দেখা গেছে, টনটনের এ মাঠের লং অন ও লং অফে বাউন্ডারির সর্বনিম্ন আকার ৬৫ মিটার, সর্বোচ্চ ৬৮। স্কয়ারের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৬৫ মিটার, সর্বনিম্ন ৬৪।

দুই দলের বোলারদের জন্য যে ছক্কা-বৃষ্টি অপেক্ষা করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।



রাইজিংবিডি/টনটন/১৬ জুন ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়