ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গৃহকর্মীকে বর্বর নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৫

মাওলা সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গৃহকর্মীকে বর্বর নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি : অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় নোয়াখালীর এক গৃহকর্মীকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগের মামলায় আরো এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ঘটনায় তিন নারীসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার জেলা শহর মাইজদী থেকে পলি বেগম (২৮) নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাদলের স্ত্রী। এ নিয়ে এই ঘটনায় তিন নারীসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই গৃহপরিচারিকাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

রাহেলা আক্তার (১৯) নামের ওই কিশোরী হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের চরনঙ্গোলিয়া গ্রামের এনায়েত উল্যার মেয়ে। তার মা শামছুন নাহার অভিযোগ করেন, চার মাস আগে প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের মেয়ে রিনা আক্তার তাদের অগোচরে রাহেলাকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন জায়গায় রেখে তার ওপর নানা রকম নির্যাতন চালানো হয়। রোববার রাতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের নিচ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাহেলাকে উদ্ধার করে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে বাড়িতে খবর দেয়। এরপর তারা রাহেলাকে নোয়াখালী এনে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

 



নির্যাতিতা রাহেলার অভিযোগ, রিনা আক্তার তাকে বাড়ি থেকে মাইজদীতে আলেয়ার বাসায় রেখে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় অ্যাসিড মেরে তার শরীর ঝলসে দেন। রোববার রাতে তাকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের পাশে নিয়ে ফেলে দেন।

অসহায় পরিবারটি এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, মেয়েটি শরীরে অ্যাসিড বা কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য দিয়ে শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ করে। এ ছাড়াও, তার শরীরে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অ্যাসিডের পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে নির্যাতিতার ভাই জাকের হোসেন বাদী হয়ে নারী নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই পুলিশ চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান সুমন, তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, হাকিমপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৮) ও হাতিয়ার জামাল উদ্দিনের মেয়ে রিনা আক্তার (২৫)। সকালে পলি বেগম নামে আরো এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলি কোম্পানীগঞ্জের বাদলের স্ত্রী। জেলা শহর মাইজদীতে বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মাওলা সুজন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়