ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

অপো’র সেরা সব উদ্ভাবনের গল্প

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অপো’র সেরা সব উদ্ভাবনের গল্প

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : মোবাইল ফোন শিল্প তাদের বাজারে ক্রমাগত পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়েছে। অনেক নতুন ব্র্যান্ড বাজারে এসেছে এর পাশাপাশি অনেকে চলেও গেছে। এদের মাঝে কেউ কেউ এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারে টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে।

এমনই একটি নতুন ব্র্যান্ড ২০০৮ সালে বাজারে আসে। বাজারে প্রবেশের পর থেকে ব্র্যান্ডটি নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করতে এবং গ্রাহকদেরকে একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা দিতে ক্রমাগত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে একটি অনন্য স্থান করে নিয়েছে এই ব্র্যান্ডটি। এখন বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি ব্র্যান্ডগুলোর মাঝে এটি একটি পরিচিত ব্র্যান্ড। বলা হচ্ছে, সেলফি এক্সপার্ট ও লিডার ব্র্যান্ড অপো’র কথা।

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডটি ১০ বছর পার করেছে। শুরু থেকেই অভিনব সব প্রযুক্তি ও ডিজাইন সমৃদ্ধ মোবাইল ফোনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে অপো।

২০০৮ সালে অপো তাদের প্রথম ফোন এ১০৩ চালু করেছিল। সে সময়েই এ১০৩-এর মতো অনন্য নকশার একটি ফিচার ফোন নিয়ে আসে অপো। এর পেছনের ক্যামেরা এবং ফ্ল্যাশ দ্বারা একটি স্মাইলি ফেস তৈরি করা ছিল এবং সোনালী রং-এ ফোনটির সৌন্দর্য পুরোপুরিভাবে ফুটে উঠে। এরপর থেকে তাদের যাত্রা আর থামেনি। ২০১২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন হিসেবে বাজারে আসে অপো ফাইন্ডার। ৭ বছরের অধিক সময় চলে গেছে অথচ এখনও এর চেয়ে পুরু অনেক ফোন বাজারে রয়েছে। এরপর তারা নিয়ে আসে এন১। ২০১৩ সালে যখন প্রথম চালু হয়, বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে অপো এন১ তার রোটেটিং রিয়ার ক্যামেরার জন্য। অপো ফাইন্ড ৭ ও ফাইন্ড ৭এ যখন বাজারে আসে সেটি অপো’র অন্যতম সেরা উদ্ভাবনীগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। অপো এই দুই ফোনেই সর্বপ্রথম তাদের ভুক চার্জার নিয়ে আসে। এটি অপো দ্বারা স্বাধীনভাবে বিকশিত সম্পূর্ণ নতুন একটি চার্জিং প্রযুক্তি, যা প্রচলিত চার্জিং প্রযুক্তির চেয়ে চারগুণ দ্রুত গতিতে মোবাইলে চার্জ সরবরাহ করে থাকে।

এছাড়াও মোবাইল ফোন ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেজ্যুলেশন নিয়ে আসে অপো। অপো আরো চালু করেছে পিউর ইমেজ ২.০+ ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তি। অপো ফাইন্ড৭ এর অনুরূপ ফিচারসম্পন্ন অপো এন৩ ৬৪ মেগাপিক্সেল হাই-রেজ্যুলেশন সম্পন্ন ছবি ধারণ করতে পারে। ২০১৭ সালে অপো ১৮:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিও গ্রহণের মাধ্যমে তাদের ফোনে নতুন ডিজাইন নিয়ে আসে। সে বছরই ডুয়াল ক্যামেরার ফিচারটি বেশ জনপ্রিয় হয় এবং সেই ফিচার নিজেদের মোবাইলে নিয়ে আসতে অপোও পিছিয়ে নেই। অপো’র মোবাইল ফোনের ইতিহাসে ফাইন্ড এক্স ফোনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফোনটির একটি বিশেষ টেকনোলজি ভুক চার্জিং টেকনোলজির দ্রুততর সংস্করণ এনেছে। এই টেকনোলজির মাধ্যমে মাত্র ৪০ মিনিটে ফোনটি ০ থেকে ১০০% চার্জ সম্পন্ন হবে। অপো’র সর্বশেষ উদ্ভাবন হলো মোটরাইজড স্লাইডার সম্পন্ন অপো ফাইন্ড এক্স এবং আর ১৭ প্রো।

২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুযায়ী, অপো ডোমেস্টিক প্যাটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ডিসক্লোজার এবং অথোরাইজেশন সংখ্যা ২৬,২৪৬-এ পৌঁছায়। সব মিলিয়ে অপো’র ১০ বছরের এই যাত্রা একটি উদ্ভাবনী যাত্রা ছিল। ২০১৯ সালে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে অপো ১০ বিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের করছে, যা নতুন উদ্ভাবনের দরজা খুলে দেবে।






রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়