ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অব্যাহত বৃষ্টি দেখে মলিন বোরো চাষিদের মুখ

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১০ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অব্যাহত বৃষ্টি দেখে মলিন  বোরো চাষিদের মুখ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :  বৃষ্টির কারণে মলিন হতে বসেছে গোপালগঞ্জের বোরো চাষিদের মুখের হাসি। নতুন দুশ্চিন্তায় গ্রাস করেছে তাদের।

ধান কাটা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত খেত থেকে সব ধান গোলায় তুলতে পারেননি তারা। বৃষ্টির দুর্যোগ অব্যাহত থাকলে বাদ বাকি ধানও নষ্ট হবে, সেই সাথে দাম না পেলে লোকসানের মুখে দাঁড়াতে হবে তাদের।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক ইমাদ শেখ। এবছর ৬ বিঘা জমিতে হীরা ও হাইব্রিডসহ বিভিন্ন ধানের চাষ করেছেন। ভাল ধান বীজ, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের ভাল সরবরাহ পাওয়ায় ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। কয়েক দিন আগে শিলা বৃষ্টি হলেও ধানের তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় মুখে ছিল হাসি। এখন লাগাতার বৃষ্টি দেখে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বুধবার বিকালে নিজের ক্ষেতে বসে সে দুশ্চিন্তার কথাই জানালেন এই কৃষক। শুধু তিনি নন, এমন চিন্তায় পড়েছেন ওই এলাকার সেকেন্দার শেখ, মো: আকবর আলী বিশ্বাস, জহিরুল ইসলামসহ প্রায় সব চাষিরাই।

জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, গোপালগঞ্জের যে দিকে চোখ যাবে সেদিকেই মাঠের পর মাঠ সোনালী ধানের সমারোহ। ধান কাটতেও শুরু করেছেন তারা। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় ও চাহিদা থাকায় এবছর জেলায় প্রায় ৬৫ ভাগ জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ সামলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ঘটিয়েছেন জেলা কৃষকেরা।

বাম্পার ফলনে হাসি ফুটলেও বৃষ্টি দূর্যোগ আর দাম নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা। সেই সাথে ধান কাটা শ্রমিকও যেন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে প্রতি মন ধানের দাম নির্ধারণ করেছে এক হাজার ৪০ টাকা। কৃষকদের অভিযোগ- এ দামে খরচও উঠবে না, ফলে দিতে হবে লোকসান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় সাড়ে ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয়েছে সাড়ে ৮০ হাজার হেক্টর জমি। যা লক্ষমাত্রার চেয়েও ৭ হাজার হেক্টর বেশি।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, ‘এবছর ধানের আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ধান পেকে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষেতের সোনালী ধান কেটে গোলায় তুলছেন। তবে আবহাওয়াগত কারণে মাঠের ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলেই কৃষকদের ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছি।’




রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১০ মে ২০১৮/বাদল সাহা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়